লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
কিছু হতে না হতেই মুখে ‘মন খারাপ’ বলাটা আমাদের আবেগেরই সাধারণ একটি অংশ। যাকে রোগ বলা যায় না। অনেকেই অল্পেতেই মন খারাপ করে রাখে। অথচ চাইলেই কিন্তু আরও একটু স্বাভবিক থাকা যেতো। যদি কোনো কিছু মনের মতো না ঘটে, মনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। মানুষ হলে এগুলো থাকতেই হবে। আমাদের মানবিক যে আবেগ আছে, আবেগের যেই ওঠানামা, সমস্তটাই থাকবে। থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে মন খারাপটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেই সেই বিষণ্ণতাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা করতে হয়।
এমন নয় যে, পৃথিবীতে হাতে গোণা মানুষের মন খারাপ হয়। মূলত প্রতিদিনের জীবনযাপনে নানা ঘটনায় কমবেশি মন খারাপ তো আমাদের সবারই হয়। কিন্তু একথা কি জানা আছে যে টানা মন খারাপের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ভুগলে মস্তিষ্কের ভেতরে এমন ক্ষতি হয় যে নানাবিধ মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই মন খারাপের মতো অনুভূতিকে বেশি দিন মনে প্রশ্রয় দিলে কিন্তু বিপদ!
মানসিক অবসাদ আসলে কী? বিজ্ঞানের যা যুক্তি, তা অনুসারে দিনের পর দিন মন খারাপ থাকতে থাকতে তা ক্রমিক আকার ধারণ করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র জাগতিক সব কিছু থেকে কেমন যেন মন উঠতে শুরু করে। কোনও কিছুই যেন ভালো লাগে না। মনে হয় জীবনটা যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ডিপ্রেশন বল হয়ে থাকে।
আজকের দিনের এত স্ট্রেসফুল পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদের থেকে দূরে থাকার কোনো উপায় আছে কি? অবশ্যই আছে। তার জন্য এই লেখায় আলোচিত খাবারগুলিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেখবেন এই মারণ রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। যে যে খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে সেগুলি হল:
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, ২. মাছ, ৩. সাইট্রাস ফল, ৪. টমেটো, ৫. পালং শাক, ৬. ভিটামিন ‘ডি’, ৭. নারকেল, ৮. বাদাম, ৯. রসুন, ১০. দই ও ১১. ১০. কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট।
অতএব মন ভালো রাখতে চাইলে শুধুমাত্র এইসব খাবারের প্রতি মনোযোগী হলেই হবে না। সঙ্গে যেকোনও পরিস্থিতিতে নিজের মানসিকতা ও চিন্তাগুলেকেও রাখতে হবে অনেক বেশি পজেটিভ। তবেই না ফুরফুরে থাকবে মন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি