নিজস্ব প্রতিবেদক:
কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনের সঙ্গে সড়কের সংযোগ না থাকায় কয়রা থেকে নদীপথের খুলনাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা এমন ভোগান্তির শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা নিতেই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন চারটি যাত্রীবাহী লঞ্চ এ নৌপথে যাতায়াত করে। কিন্তু মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনে ওঠার সিঁড়ি না থাকায় লঞ্চগুলো নদীর চরে ভিড়তে বাধ্য হয়। আর ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। ভাটার সময় হাঁটু কাদা পেরিয়ে লঞ্চে আরোহণ, আর জোয়ারের সময় সহায়ক হয় গামছা। মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বোরখা কাপড় ভিজিয়ে আদরের সন্তান কোলে কাঁধে নিয়ে বহু কষ্টে লঞ্চে উঠতে হয়। বিকল্প কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদিনাবাদ লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটির নির্দিষ্ট পন্টুুন থাকলেও পন্টুনে ওঠার সিঁড়ি নেই। এ কারণে লঞ্চ যথানিয়মে পন্টুনের সামনে নোঙর করতে পারে না। এতে খুলনাগামী ও খুলনাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লঞ্চযাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে হাঁটু পরিমাণ পানি ও কাদা পার হয়ে লঞ্চে ওঠা-নামা করতে হচ্ছে। সীমাহীন ভোগান্তিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক লোকদের। অনেকে তাদের অসুস্থ স্বজনদের কোলে তুলে ঝুঁকি নিয়ে কাদা-পানি পার হয়ে লঞ্চে উঠছেন।
লঞ্চযাত্রী শাহিন হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইজারাদাররা তো ঠিকই টাকা নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এই দুর্ভোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কয়রা সদর ইউপি সদস্য আব্দুর রব খোকন বলেন, কাদা পানিতে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তার পরেও মালামাল ওঠা নামানোতে রয়েছে আরো সমস্যা। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে পন্টুনের সঙ্গে সড়কের সংযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু এই এলাকার লোকজন এই ঘাট দিয়ে চলাচল করে না। পার্শ্ববর্তী অনেক এলাকার লোকজন এ লঞ্চঘাট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক কায়ছারুল আলম বলেন, মদিনবাদ লঞ্চঘাটের পন্টুনের সাথে সড়কের সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ