নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
আদালত তা মঞ্জুর করে হাইকোর্টের আদেশটি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে চার্জ শুনানির জন্য সব আসামিকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু, জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর এবং এমকে আনোয়ার মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন।
তারা হলেন- বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা দায়ের করে দুদক।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ