স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মৌসুমি ফল তরমুজ। বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন এইফ ফলের স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর। গরমে একটু আরাম পেতে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। পানিযুক্ত ফল বলে তরমুজ এ সময়টার জন্য আসলেই বেশ উপকারী। তবে অনেক সময় তরমুজে মেশানো হয় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যার ফলে এটি খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
শরীর ঠাণ্ডা রাখে বলে অনেকেই রাতে তরমুজ খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন। তরমুজ সহজে হজম হয় না বা হজমে সাহায্য করে না। তাই রাতে তরমুজ খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম হতে পারে বা পরদিন সকালে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাতে যেহেতু আমাদের পরিপাকক্রিয়া ধীর গতিতে হয়, তাই মিষ্টি ও অ্যাসিডিক খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো।
তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ন্যাচারাল সুগার থাকে। ফলে রাতে তরমুজ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে রাতে বার বার প্রস্রাব পেতে পারে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, পরদিন ক্লান্ত লাগতে পারে। আয়ুর্বেদেও রাতে কোনো ফল বা তরমুজ খেতে বারণ করা হয়েছে। রাতে ফল খেলে ডায়রিয়া, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা হতে পারে। তা হলে তরমুজ কখন খাবেন?
চিকিৎসকরা বলেছেন, সকাল বা বিকেলেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। পানি থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভালো। অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে চান। গরমে খেতে ভালো লাগলেও ফ্রিজে রাখা তরমুজ থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
দৈনিকদেশজনতা / আই সি