স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মানবদেহের বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারের কথা শুনে থাকি। বর্তমানে আমাদের দেশেও গলার ক্যান্সারের মতো রোগ বহু মানুষের মধ্যে দেখা যায়। এসব জটিল রোগে বিশেষ করে আক্রান্ত হন পুরুষরা।
যদি আপনার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কাশি হয়, তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। গলার ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে কাশি।
আগে ছিল না অথচ ইদানিং গলায় কোনো একটা জায়গা ফুলে পিণ্ড হয়ে আছে। এক্ষেত্রে চিন্তিত হতে পারেন।
গলার ক্যান্সার থেকে মেটাস্ট্যাসিসের মাধ্যমে ঘাড়ে বা গলার বাইরের দিকে, বিশেষ করে চিবুকের ঠিক নিচে এমন পিণ্ড দেখা দিতে পারে।
গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে গলায় ব্যথা এবং খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে। এমন কোনো লক্ষণ যদি দেখেন, তাহলে অবহেলা করবেন না।
কখনো কখনো অনেক কারণেই মুখে ঘা হয়। কিন্তু, সেই ঘা যদি ১৫ থেকে ২০ দিনেও না সারে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
বয়ঃসন্ধির কারণে ছেলেদের গলার স্বর বদলে যায়। কিংবা ঠান্ডা লাগার কারণেও আমাদের গলা কখনো কখনো ভেঙে যায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু, অসময়ে গলা ভেঙে গেল এবং তা অনেক দিন ধরে না সারলে চিন্তার কারণ হতে পারে।
কাশি বা কফের সঙ্গে রক্ত কখনোই ভালো লক্ষণ নয়। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস বা যক্ষ্মার ক্ষেত্রেও এটা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এই রক্ত তাজা লাল হয় এবং এতে বাতাস ও মিউকাসের কারণে বুদবুদ মিশে থাকে।
ঢোক গিলতে গিয়ে মনে হচ্ছে, গলায় কিছু একটা আটকে আছে। হয়তো গলায় ক্যান্সারের কারণে টিউমার আছে, যাতে এই অনুভূতি হচ্ছে আপনার। গলার ক্যান্সারের খুব সাধারণ একটি উপসর্গ এটি।
এছাড়া কানে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া, কথা অস্পষ্ট, চোয়াল, নাক দিয়ে রক্তপাত ও ঘাড়ে ব্যথার মত উপসর্গগুলো দেখা দিলেও হতে পারে গলার ক্যান্সার।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ