মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলা মোকাবিলায় আইনি পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি এখন থেকে আমাদের নিয়মিত আইনজীবীদের প্যানেলকে পরামর্শ দেবেন। তিনি মামলায় সার্বিক বিষয়ে কাজ করবেন। প্রয়োজনে তিনি ঢাকায় আসবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনজীবী নিয়োগ প্রসঙ্গে দেশবাসীকে অবহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, আবু খায়ের ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর তাইফুল ইসলাম, বেলাল আহমেদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় জেনারেল ‘ল’ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন। নেত্রীকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করে আনতে সহযোগিতা করবেন।
ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নামে ৩৬ টি মামলা দেয়া হয়েছে। নজিরবিহীনভাবে মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে প্রবাসী বন্ধুরা যারা ব্রিটেনে জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা ব্রিটেনের আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রখ্যাত এই আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওই ব্রিটিশ আইনজীবীর নাম লর্ড কার্লাইল। তিনি লন্ডনে অবস্থান করে আমাদের আইনজীবীদের সহযোগিতা করবেন। তবে প্রয়োজন হলে তিনি বাংলাদেশেও আসবেন। তিনি দীর্ঘদিন আইন পেশা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ব্রিটিশ কুইন্স কাউন্সিলের সদস্য, হাউজ অব লর্ডসের মেম্বার, কুইন্স কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছেন।
দেশীয় আইনজীবীগণ বেগম খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় ব্যর্থ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিটিশ ওই আইনজীবী আমাদের আইনজীবীদের সহযোগিতা করবেন। ক্রিমিন্যাল মামলায় তার অনেক বেশি অভিজ্ঞাত রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মামলাগুলো তুলে ধরবেন বিদেশী এ আইনজীবী।
ফখরুল জানান, লর্ড কারলাইল বেগম খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় আইনজীবী টিমের সাথে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে এখন কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। আপিল বিভাগ এই মামলায় সোমবার তাঁর জামিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে আদেশ দেন। এতে আপাতত তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি ও হাজিরা পরোয়ানা জারি করেছেন দেশের কয়েকটি আদালত। মুক্তির জন্য এসব মামলায়ও তাঁকে জামিন নিতে বা পেতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, লর্ড কার্লাইল একজন প্রখ্যাত ব্যারিষ্টার। তিনি আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। এখন থেকে তিনি সহযোগিতা প্রদান করবেন, পরামর্শ দেবেন। তাঁর পক্ষে যতটুকু সম্ভব, সেটা তিনি করবেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর