দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
রাখাইনে ফিরে মিয়ানমারের তৈরি করা শরণার্থী শিবিরে (কারাগার) থাকতে রাজি নয় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যবর্তী এলাকা নো-ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়া রোহিঙ্গারা। পুনর্বাসনের আগে সাময়িকভাবে ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকার জন্য মিয়ানমার সরকারের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। নিজ গ্রামেই পুনর্বাসন করার শর্তেই কেবল তারা প্রত্যাবাসনে রাজি।
নো ম্যানস ল্যান্ডের অধিবাসী স্পষ্ট করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, ট্রানজিট ক্যাম্পে উঠলে তাদের দীর্ঘমেয়াদে সেখানে বন্দি করে রাখা হবে। গত রোববার নো-ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরের এক নেতার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এএফপি খবর জানানো হয়েছে।
কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে দিল মোহাম্মদ নামের ৫১ বছর বয়সী ওই রোহিঙ্গা বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। আমরা বাঙালি নই। আমরা মিয়ানমারের মূল নাগরিক।’ দিল মোহাম্মদ জানান, নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকা প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দা কেবল মিয়ানমারে ফিরে যাবে, যদি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় জ্বালিয়ে দেয়া ঘরবাড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় এবং পুরনো গ্রা মে পুনর্বাসিত হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। দিল বলেন, ‘আমরা ট্রানজিট ক্যাম্পে যেতে চাই না। আমাদের সরাসরি বাড়িতে যাওয়া প্রয়োজন।’ রেডক্রস বর্তমানে নো-ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের সহায়তা জুগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি অংশে এসে তারা এ সহায়তা গ্রহণ করে।
এদিকে সমালোচনা ও নিন্দার ভয়ে মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি অস্ট্রেলিয়া সফরের একমাত্র প্রকাশ্য ভাষণ বাতিল করেছেন। এজন্য অসুস্থতার দোহাই দিয়েছেন তিনি। সিডনিতে লোবি ইন্সটিটিউট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তার মূল ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। ভাষণের পর শ্রোতাদের জন্য প্রশ্নের সুযোগ রাখা হয়েছিল। বিব্রতকর প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন এই ভয়ে গত সোমবার তা বাতিল করা হয়। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় গেলেও এখনও জনসম্মুখে কোনো কথা বলেননি তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি