নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় যেসব বাংলাদেশিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে তাদের মরদেহ আগামী মঙ্গলবার আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. সোহেল মাহমুদ। আজ শুক্রবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের এই সদস্য।কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘এর মধ্যে যেসব মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শনিবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে। ফলে এদিন তেমন কোনও কাজ হবে না। তবে আমরা আশাবাদী, রবিবার বা সোমবার নাগাদ শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের মধ্যেই নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। কাল থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব মৃতদেহ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে সেগুলো আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য এসব মৃতদেহের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসক দলের সদস্যরা ছাড়াও নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রবি বা সোমবারের মধ্যে তারা শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করবেন। তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া মঙ্গলবারেও গড়াতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধরে রাখুন মঙ্গলবার হস্তান্তর করা যাবে মরদেহগুলো। তবে আবারও বলছি, আমরা চেষ্টা করব। এটা ওইভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আগামী রোববার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন, সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের কর্মকর্তা এএসপি আব্দুস সালাম।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর