নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলমান অস্থিরতার প্রভাবে দেশের শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্যাপক দরপতনের শিকার হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনে দেখা দিয়েছে খরা। ব্রোকারেজ হাউস থেকে রাস্তায় নেমেছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে মঙ্গলবার তারা এ বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজারে পরিকল্পিতভাবে দরপতন ঘটানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক মাস ধরে প্রায় টানা দরপতন চলছে। দরপতন দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে গুজব আছে। এমনিতে সাম্প্রতিক দরপতনে অনেকের বিনিয়োগ আটকে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ করার সাহস করছেন না বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, ইতিবাচক মূল্য সংবেদনশীল তথ্যও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে না। উল্টো এমন খবরে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দর কমার ঘটনাও ঘটছে।
জানা গেছে, গত ৫ কার্য দিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। আর গতকাল একদিনে কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রধান সূচক কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। আর লেনদেন নেমেছে ২শ কোটির ঘরে। গতকাল ডিএসইতে মোট ২৮২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থবাজারে ভয়াবহ টাকার সংকট পুঁজিবাজারেও পড়েছে।
ডিবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী গণমাধ্যমকে বলেন, সদ্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ সীমা কমিয়ে দেয়। ব্যাংকগুলো আগে যে বাড়তি ঋণ বিতরণ করেছে সেগুলো সমন্বয় করতে গিয়ে এখন নতুন ঋণ দিতে পারছে কম। যে কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারছে না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ