২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২০

এবি ব্যাংকের ওয়াহিদুলসহ ৪ জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের মামলার আসামি এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১১ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হওয়া এ জিজ্ঞাসাবাদ বিকেল পর্যন্ত চলবে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী, মো. ফজলুর রহমান এবং কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তারা এজাহারভুক্ত আসামি, বর্তমানে জামিনে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদকৃত কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে। আত্মসাতকালীন সময়ে ওয়াহিদুল হক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। কথিত ওই বিনিয়োগ এবং অর্থ আত্মসাতের নেপথ্যে ব্যাংকের গ্রাহক আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের সাইফুল হকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দুদকের অভিযোগ। এক সময় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কাজ করা সাইফুলের এবি ব্যাংকে কোনো অংশীদারিত্ব নেই। তবে তিনি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের দ্বিতীয় মেয়ের জামাই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে এজাহারে বলা হয়, আসামি সাইফুল দুবাইয়ে থাকাকালে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য খুররম আবদুল্লাহ ও আব্দুস সামাদ খানের সঙ্গে তার সখ্যতা হয়। তিনি এবি ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হকেরও পূর্ব পরিচিত। সাইফুলই এবি ব্যাংকের অর্থ পাচারের বিষয়ে ওই প্রতারক চক্রের সাথে ‍ওয়াহিদুল হকের পরিচয় করিয়ে দেন এবং পরে দুবাই ও বাংলাদেশে একাধিকবার তারা বৈঠক করেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল ব্যাংকের বোর্ডকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুবাই গিয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর ওই প্রতারক চক্র পিনাকল গ্লোবাল ফান্ড (পিজিএফ) নামে একটি কোম্পানি সৃষ্টি করে।

সেই কথিত পিনাকলের আট কোটি ডলারের সঙ্গে এবি ব্যাংকের দুই কোটি ডলার মিলিয়ে ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে তা দুবাইয়ে বিনিয়োগের একটি কাল্পনিক প্রস্তাব তৈরি করা হয়। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও শামীম আহমেদের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে তা পাস করিয়ে নেয়া হয় ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে চেং বাও জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের এক কোম্পানির নামে পাঠানো ওই দুই কোটি ডলার আবুধাবির একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যায়। সেখান থেকে পরে তা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :মার্চ ১১, ২০১৮ ৮:৩২ অপরাহ্ণ