নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারের মধ্য গেন্ডা মহল্লার ‘জঙ্গি অাস্তানা’য় দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এরপর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর থেমে থেমে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত আরও পাঁচবার বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
তবে এসব বিস্ফোরণের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কিছু বলেনি।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
অভিযানের শুরুতে বেশ কয়েকজন নারী, শিশু ও পুরুষদের ওই বাড়ি থেকে বের করে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ছাড়া জঙ্গি আস্তানার পাশের ১৫টি বাড়িও খালি করা হয়। জঙ্গি আস্তানায় পানি ছিটানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অবস্থান নিয়েছে। আর প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজাম ইউনিটের চার শতাধিক সদস্য পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।
ইতিমধ্যে সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মধ্য গেন্ডা মহল্লার সাকিব মিয়ার ছয়তলা বাড়ির দোতলায় দুটি ফ্ল্যাটে শুক্রবার জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় ঢাকা জেলা পুলিশ।
পরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সহয়তায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দোতলার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা, বোমা তৈরির ব্যাটারি, জিহাদি বই ও ল্যাপটপ উদ্ধার করে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডার দুটি বাড়িতে জঙ্গি ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক স্থানীয় আনোয়ার মোল্ল্যার বাড়িতে পুলিশি অভিযানের আগেই বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্লাটে অবস্থানরত বাবুল নামে এক জঙ্গি পরিবারসহ পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে ওই ফ্লাট থেকে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। বাবুলকে আশ্রয় দেয়া ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মুনির ও তার পরিবারকে স্থানীয় কাউন্সিলারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এই অভিযানের মধ্যেই মধ্য গেন্ডা মহল্লার সাকিব মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম