নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে উন্মুক্ত ময়দানে জনসভা করার অনুমতি না পেয়ে হতাশ হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বড় ধরনের শো-ডাউন করতে চাচ্ছে বিএনপি। তবে অনুমতির অভাবে পারছে না। ঢাকায় জনসভা করতে না পেরে বিভাগীয় সদরগুলোতে শো-ডাউন করার কর্মসূচি গ্রহণ করে দলটি। এখন অব্দি কোথাও অনুমতি মেলেনি। ১২ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকারের কাছে লিখিত অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও সাড়া মিলছে না। বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তবে তিনি হ্যাঁ-না কিছুই বলেননি।
আজ শনিবার খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তৃতা দেওয়ার কথা। তবে হঠাৎ করে গতকাল হাদিস পার্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ জারি করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। কেএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার সকাল ৬ টা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে একই দিন ও একই সময়ে সমাবেশ আহ্বান করায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এটা করা হয়েছে বলে জানায় খুলনা পুলিশ।
এদিকে আগামী ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে এই সমাবেশ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলে। কারণ পুলিশের কাছে লিখিত অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম বিএনপি আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি এখনো। এছাড়া রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে ৩১ মার্চ সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পছন্দ করছে না। তারা অশান্তি চায়। তারা আমাদের উস্কানি দিচ্ছে। আমাদের সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। জনসভা করার জন্য অনুমতি পত্র ফেলে রাখছে। কিন্তু শত উস্কানিতেও আমরা আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিবো না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকায় জনসভার এখনো অনুমতি মেলেনি। আমরা শুধু চাচ্ছি একটা জনসভার অনুমতি। যেটা আমাদের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে আজকে বিএনপি বঞ্চিত হয়েছে। খুলনা অফিস জানায়, হাদিস পার্কে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমাদের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতাসীন দল হাদিস পার্কে সমাবেশ আহ্বান করেছে। যাতে আমাদের অনুমতি দেওয়া না হয়।
এ বিষয়ে খুলনায় অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ২৭ ফেবু্রয়ারি তারা হাদিস পার্কে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কেএমপিতে আবেদন করেন। কেসিসি থেকেও অনুমতি নিয়েছেন। অথচ দু’দিন আগে মহিলা আওয়ামী লীগ নাকি সেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। এ অজুহাতে পুলিশ সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিএনপির সমাবেশ বন্ধের জন্যই এ ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি