বিনোদন ডেস্ক:
গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল নির্মাতা তৌকীর আহমেদের জীবন ও জীবিকা নির্ভর গল্পে নির্মিত ছবি ‘হালদা’। এ ছবির মূল নারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। আরও ছিলেন জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম ও ফজলুর রহমান বাবুর মতো তারকারা। তৌকীরের পরিচালনায় তিশার প্রথম কাজ ছিল এটি। প্রথম ছবিতেই নির্মাতা তৌকীরের মন ভরিয়েছেন তিনি। তাইতো পরবর্তী ছবি ‘ফাগুন হাওয়া’-তে সেই তিশার উপরেই আস্থা রাখলেন নির্মাতা তৌকীর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হবে ‘ফাগুন হাওয়া’। টিটো রহমানের ছোট গল্প ‘বউ কথা কও’-এর অনুপ্রেরণায় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত হবে ছবিটি। ১০ মার্চ, শনিবার থেকে খুলনায় এটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টানা ২১ দিন চলবে খুলনা অংশের শুটিং। তবে তিশা শুটিংয়ে যোগ দেবেন দুদিন পরে। গণমাধ্যমেকে এমনটাই জানিয়েছেন ছবির পরিচালক তৌকীর।
‘ফাগুন হাওয়া’য় তিশার চরিত্রটির নাম দীপ্তি। ছবিটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে তিনি জানান, ‘তৌকীর ভাই নিঃসন্দেহে একজন ভালো নির্মাতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করার আনন্দ আমি ‘হালদা’র সময়ই বুঝতে পেরেছি। তাছাড়া ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমাদের দেশে খুব একটা ছবি নির্মিত হয়নি। এমন একটি ঐতিহাসিক গল্পের ছবিতে সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অন্য রকম আনন্দ হচ্ছে। মন দিয়ে কাজটি শেষ করতে চাই।’
অন্যদিতে নির্মাতা তৌকীর জানান, ‘তিশা খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। সে আগেও আমার সঙ্গে কাজ করেছে। কাজেই ওর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। দীপ্তি চরিত্রের জন্য এর আগেও কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু তিশার সঙ্গে কথা বলার পর মনে হলো, ওর মতো নির্ভরযোগ্য একজন অভিনেত্রী থাকলে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে সুবিধা হবে। তাই ওকেই বেছে নিলাম।’
এদিকে ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিতে নায়ক হিসেবে ছোট পর্দার অভিনেতা সিয়াম আহমেদের নাম কয়েকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি অভিনেতা সিয়াম। তিনি সবটা পরিচালকের ওপরে ছেড়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কাস্টিং সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। এ ব্যাপারে তৌকীর ভাইয়াই ভালো বলতে পারবেন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তবেই জানাতে পারব।’
কিন্তু কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও পরিচালক তৌকীরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আগের গুঞ্জন সত্যি হলে ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিতে সিয়ামই হতে পারে তিশার নায়ক। আর এটাই হবে নতুন এ জুটির প্রথম ছবি। তৌকীর এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয়যাত্রা’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে তার পরিচালনা জীবন শুরু হয়েছিল। এর পর একে একে তিনি নির্মাণ করেন রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ, অজ্ঞাতনামা ও হালদা। প্রতিটি ছবিই দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। জেতেন একাধিক পুরস্কারও। এবার অপেক্ষা তার ষষ্ঠ প্রজেক্ট ‘ফাগুন হাওয়া’র জন্য।