নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে আব্দুস সালাম নামের এক ব্যবসায়ীর পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাধা প্রভাবশালীদের। ভূমিদস্যুদের একটি চক্র বঙ্গবন্ধু পাঠাগার নামে দখলের চেষ্টা করছে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন লালপুরের মরহুম আফসার আলীর ছেলে আব্দুস সালামের লালপুর বাজারে দশ শতক জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চাইলেও প্রভাবশালী কিছু ভূমিদস্যুদের বাধায় তা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এদিকে আব্দুস সালামের নিজস্ব জমিতে নির্মিত দোকান ঘরের সামনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার রাজশাহী নামে সড়কের কয়েক শতক জমি রয়েছে। ভূমিদস্যুদের একটি চক্র ওই সড়কের সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যাক্তি নামে জেলা পরিষদের মাধ্যমে লিজ নিয়ে দখল করতে ব্যার্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপনে পূনরায় লিজ নেয়ার তৎপরতা শুরু করে। উলেখ্য আব্দুস সালামের পৈত্তিক স¤পত্তির সামনে ১নং খতিয়ানের জমিটি নিয়ে বর্তমানে উচ্চ আদালতে সরকার-জেলা পরিষদ-হাটবাজার এর মধ্যে ত্রি-পক্ষিয় মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
এমন দখলের ঘটনায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের নাটোর জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রোজ বলেন, একজন ব্যবসায়ীর জমি দখল করতে বঙ্গবন্ধু পাঠাগার নাম ব্যবহার করা একটি নিন্দনীয় কাজ। একটি ভূমিদস্যু চক্র লালপুরে ও বাগাতিপাড়ায় সরকারী ও ব্যাক্তিমালিকানা সম্পত্তি দখল করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও স্থানীয় সাংসদের ছবি টাঙ্গিয়ে দখল করে। আবার তা কিছু দিন পরে মোটা অংকে বিক্রি করা হয়। ভূমিদস্যু চক্রের কিছু ব্যাক্তির জন্য সরকারী দলের ভাবমূর্তী ক্ষন্ন হচ্ছে।’ বিষয়টি নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম দাবী করেন, ‘আমার পৈত্রিক জমিতে বেশ কিছু দোকানঘর করে ভাড়া দেয়া আছে। বর্তমানে নতুন স্থাপনা করতে গেলে তারা আমার নির্মান কাজে বাধা দিচ্ছে। আমার দোকানের সামনের জায়গাটি ডেপুটি কমিশনার রাজশাহীর নামে রেকর্ড রয়েছে। জেলা পরিষদের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কয়েক জনকে লীজ প্রদান করে। অবৈধ লিজ বাতিলের জন্য আমি উচ্চ আদালতে আবেদন করলে জেলা পরিষদের দেয়া ওই লিজ বাতিল হয়। বর্তমানে তারা বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের নামে লিজ নেয়ার পায়তারা করছে। এছাড়াও লালপুরের একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আমার তৈরী করা দোকান ঘর ভাড়াটিয়া দোকানদার জবর দখলের চেষ্টা করলে নাটোর সহকারী জজ আদালতে ৫/১৪ মামলা দায়ের করি, মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিজস্ব সম্পত্তি হওয়ার পরেও তা রক্ষা করতে আমাকে বিভিন্ন হুমকিতে পড়তে হচ্ছে। দখলকারীদের কারণে টেনশানে বতর্মানে আমি অসুস্থত প্রায়।’
এদিকে অভিযুক্ত আওলাদ ও মোজা বলেন,‘সালামের ঘরের সামনের জায়গা জেলা পরষিদ থেকে আমরা লীজ নিয়েছিলাম এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে তাই তাকে ঘর নির্মানে বাধা প্রদান করি।’
জমির ব্যাপারে লালপুর ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা আ: মজিদ জানান, উক্ত জায়গাটিতে রিট পিটিশন মামলা নং ৯১৭১/২০১৬ এর তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করি। তদন্তে দেখা যায় এস,এ ৪৬ নং খতিয়ান ২৩৮ নং দাগ শ্রেনী আড়তঘর পরিমান ২৮শতাংশর কাত ১০ শতাংশ আফছার আলী মন্ডল, পিতা রেফাতুল্যা মন্ডল এর নিজ নামে রেকর্ড দেখা যায়। জ/ঝ ৯৭ নং খতিয়ান ৭৩৫ নং দাগে ১৭ শতাংশের ২৮২ নং দাগে ১০ শতাংশ জমি একুনে ২৭ শতাংশ জমি আফছার আলী মন্ডল, পিতা- রেফাতুল্যা মন্ডলের নিজ নামে রেকর্ড প্রকাশিত আছে। দাগের শ্রেনী বাড়ি ও ভিটা। উক্ত দাগের সামনে ০১ নং খতিয়ানে ৩৪৪ নং দাগ ২.৬০ একর জমি বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনার রাজশাহী নামে রেকর্ড প্রচার ও প্রকাশিত আছে। দাগের শ্রেনী সড়ক।
লালপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি) আবু তাহির জানান, আব্দুস সালামের পৈত্তিক স¤পত্তি ২৮১ ও ২৮২ দাগের সামনের ৩৪৪ নং দাগের সড়কের ফাঁকা জায়গাটি নিয়ে (সরকার-জেলা পরিষদ-হাটবাজার )এর মধ্যে ত্রি-পক্ষিয় মামলাটি উচ্চ আদালতে চলমান।বর্তমানে ০১ নং খতিয়ানে ৩৪৪ নং দাগ ২.৬০ একর জমি বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনার রাজশাহী নামে রেকর্ড প্রচার ও প্রকাশিত আছে। দাগের শ্রেনী সড়ক।
এ ব্যপারে বর্তমান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এনামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের নামে একটি আবেদন জমা পড়েছে এবং মামলার বিষয়টি জেনেছি। আইনি দিক বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ