গাজীপুর প্রতিনিধি:
সংবাদ প্রকাশের জেরে অবশেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপে অবৈধ দখল মুক্ত হলো ফুলেশ্বরী আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের রাস্তা। সেই সাথে সীমানা নির্ধারণ হলো কালীগঞ্জ পৌরসভার মুলগাঁও এলাকার অতিগুরুত্বপূর্ণ এ খেয়াঘাটটির রাস্তা।
৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সোহাগ হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে ফুলেশ্বরী আন্তঃজেলা খেয়াঘাটটির রাস্তা দখল মুক্ত করেন। পাশাপাশি সরকারী রাস্তা ও ব্যক্তির জমিও নির্ধারণ করেন তারা। এ সময় অবৈধ দখলদার উপজেলার মূলগাঁও চরপাড়ার আব্দুল জলিল ও উত্তরগাঁও গ্রামের সবুজ ১০ দিন সময় প্রার্থনা করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের সময় মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ফুলেশ্বরী আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের যাত্রী পারাপারের সরকারী রাস্তাটি স্থানীয় দুই চা দোকানী অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। আর যাত্রী সাধারণ বিকল্প রাস্তা হিসেবে পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ব্যবহার করত। এ নিয়ে ফুলেশ্বরী আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের ইজারাদার বলাই দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস ও ব্যক্তি জমির মালিক বেনজির আহম্মেদ বাবলু যৌথভাবে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) নিকট আবেদন করেন এবং তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
খেয়াঘাটের ইজারাদার ও জমির মালিক জানান, বহুদিনের সমস্যা স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপে বন্ধ হলো। এতে করে শীতলক্ষ্যা নদী খেয়া পারাপাড়ে কালীগঞ্জ ও পাশ্ববর্তী পলাশ উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাগব হলো।
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে লাল নিশান টানানো হয়েছে এবং অবৈধ দখলদার স্থানীয় দুই চা দোকানীকে উচ্ছেদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ১০ দিন সময় প্রার্থনা করছে মানবিক কারণে তাদের সময় মঞ্জুর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান জানান, সংবাদ প্রকাশ এবং ইজারাদার ও ব্যক্তি জমির মালিক যৌথ অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পারি। জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে সীমানা নির্ধারণ ও দখল মুক্ত করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর