নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় হঠাৎ গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার হঠাৎ করেই গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে রাজধানীর এসব এলাকাবাসী। সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় বেশিরভাগ বাড়িতেই রান্না হয়নি ফলে আশপাশের খাবারের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
অতিরিক্ত চাপ থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই খাবার শেষ হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেলে। হোটেলে এসেও অনেকে খাবার না পাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে। হঠাৎ গ্যাস সংযোগ বন্ধ হওয়ার বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আঞ্চলিক অপারেটরের দায়িত্বে থাকা আলতাব আহমেদ বলেন, বাড্ডা এলাকায় ইউলুপের কাজ করার জন্য গ্যাস সংযোগ বন্ধ আছে। ফলে বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী এলাকাবাসী গ্যাস পাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। বিরিয়ানির দোকানে এসে ফিরে যাচ্ছিলেন বাসিন্দা ওহাবুর রহমান। তিনি বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্না হয়নি। বিরিয়ানি কিনতে এসে দেখি স্থানীয় হোটেলগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। খাবারও শেষ। আর যেসব হোটেলে কিছু খাবার আছে সুযোগে হোটেল মালিকরাও ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বসছে তাই ফিরে যাচ্ছি অন্য দোকানে। তারপরও মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিচ্ছে।
এ বিষয়ে খাবারের দোকান মালিক এরশাদ আলী বলেন, গ্যাস না থাকায় সব মানুষ খাবার কিনতে হোটেলগুলোতে আসছে। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাজার থেকে সিলিন্ডার গ্যাস কিনে আনতে হয়েছে। যে কারণে কিছু কিছু হোটেলে হয়তবা বেশি দাম রাখা হচ্ছে।
বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, আজ সারাদিন বাসায় একেবারেই গ্যাস নেই। আজ না হয় ইউলুপের কাজ করার জন্য গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়েছে কিন্তু অন্যদিকেও গ্যাসের চাপ খুবই কম থাকে অনেকদিনই আছে গ্যাসে রান্নাই করা যায় না।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে গড়ে ২ হাজার ৭৪০ এমএমসিএফ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে দৈনিক প্রায় ৮০০ এমএমসিএফ গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।
বর্তমানে অবশিষ্ট গ্যাস মজুদের পরিমাণ প্রায় ১২ দশমিক ৭৪ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট)।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ