২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:১৫

খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন করতে পারবে না সরকার: মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচন করতে চাইলে আধা পথও যেতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে সরকার আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু তারা আধা পথও যেতে পারবে না। জনগণ খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেদের ডিজিটালের কথা বলেন। রায়ের সার্টিফাইড কপি ৫ দিনের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও পেতে লেগেছে ৯ দিন। হাইকোর্ট নথি তলব করার পর ১০ দিন কেটে গেছে। ৩ কিলোমিটার পথ নথি আসতে কত সময় লাগে?  এতেই বুঝা যায়, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। আমাদের মানববন্ধন, অনশন, কালো পতাকা প্রদর্শনে সরকার বাধা দিয়েছে। তারা আমাদের সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা ১২ তারিখ সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং সমাবেশের অনুমতি দিবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবেন, সরকারের সে আশা বুমেরাং হয়ে গেছে। তাকে সাজা দেওয়ার পর ভাবমূর্তি আরো বেড়ে গেছে। তিনি জনগণের সহানুভূতি পাচ্ছেন। তার প্রতি জনগণ আস্থা রাখছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তাদের পকেট ভারি করার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তাঁরা করছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। শুধু লুটপাট করার জন্যই দাম বাড়ানো কথা বলছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের মতো পাতানো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগের কথা বিশ্বাস করে না। তারা বলেছিল, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। কিন্তু পরে তারা কথা রাখেনি। বিদেশি বন্ধুরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিদেশিদেরও বার বার ধোকা দেওয়া যাবে না।

সাবেক এই  মন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ জনসভা করবে। এরপর এরশাদ করবে। আমরা ১২ তারিখ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। আমাদের অনুমতি দিন। অন্যথায় বুঝব, সরকার এক দেশে দুই আইন চালু  করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সমাবেশ স্মরণকালের জনসভা হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মার্চ ৩, ২০১৮ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ