নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ৪৭ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার। বেকারত্বের সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। প্রতিবছর ২০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।’ শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে সিনেট ভবনে এই স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রফেসর আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না যে বাংলাদেশের বিশাল তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত অর্থে জনসম্পদে রূপান্তর করতে না পারলে আমরা যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের অথবা ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, তা অধরায় রয়ে যাবে। এজন্য তরুণদের যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা বক্তৃতা করেন। স্মারক বক্তৃতার আগে শহীদ ড. জোহার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শহীদ ড. জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আশরাফী শহীদ ড. জোহার জীবনালেখ্য পাঠ করেন। বিভাগের শিক্ষক ড. বিলকিস জাহান লুম্বিনী ও ড. মো. মাহবুবর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রসঙ্গত, ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানকালে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হন। তিনিই এদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। তাঁর স্মরণে প্রতিবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি