বিনোদন প্রতিবেদক :
বর্তমান প্রজন্মের সংগীতশিল্পী নন্দিনী। সংগীত পরিবারে জন্ম নেয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার বেড়ে ওঠা। তারই ধারাবাহিকতায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পরিচালিত ‘সুরের ধারা’-তে রবীন্দ্রসংগীতের শিক্ষার্থী ছিলেন নন্দিনী। এবার প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ করলেন সম্ভাবনাময়ী এ কণ্ঠশিল্পী।
‘স্বপনে গাঁথা রবে’ নামের এই অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ। এ উপলক্ষে গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের ক্যাফে থার্টি থ্রি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন ও জমকালো প্রকাশনা উৎসব। এসময় নন্দিনীকে আশীর্বাদসহ অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদী মোহাম্মদ। জি সিরিজ-অগ্নিবীণার কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন, ওস্তাদ হিমাদ্রি শেখর তালুকদার এবং মাই টিভির শব্দ প্রকৌশলী পুলক বড়ুয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগীতশিল্পী সাদী মোহাম্মদ বলেন, ‘নন্দিনীর গান শুনে সত্যি মনটা ভালো হয়ে গেল। ওর কণ্ঠে একটা আবেশ আছে। আমি কিন্তু নিজেই নিজের গানের সমালোচক। সবসময়ই আমার মনে হয় আমি আগে যে গানগুলো গেয়েছি সেটা যদি আবার নতুন করে গাই তা হলে আরো ভালো হবে।’ আনুষ্ঠানিকতার শুরুতেই অনুভূতি প্রকাশ করেন কণ্ঠশিল্পী নন্দিনী হালদার। এ সময় তার অ্যালবাম প্রসঙ্গে নন্দিনী বলেন, ‘রবীন্দ্র সুরের মায়া ছোটবেলা থেকেই আমাকে খুব টানে। আমার মা এবং বড় বোনের কণ্ঠে শুনতে শুনতে কখন যে কবিগুরুর গানের বাণী আমার ভেতরাত্মাকে জাগিয়ে তুলেছে বুঝতেই পারিনি। এই অ্যালবামটি করার পেছনে আমার ওস্তাদ হিমাদ্রি শেখর তালুকদারের আন্তরিক উৎসাহ আমাকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। পাশাপাশি শ্রদ্ধেয় বন্যা-দি’র (সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) স্নেহ-ভালোবাসা এবং আন্তরিক সহায়তা আমাকে সবসময় উৎসাহিত করে। সবার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনারা আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন।’
এরপর নন্দীনী তার অ্যালবাম থেকে গান গেয়ে শোনান। তার কণ্ঠসৃত গানে মুখরিত হয়ে ওঠে আয়োজনস্থল।‘ স্বপনে গাঁথা রবে’ অ্যালবামে থাকা গানগুলোর যন্ত্রায়োজন ও সংগীত পরিচালনা করেছেন কলকাতার প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক শুভায়ু সেন মজুমদার। এটি নন্দিনী হালদারের প্রথম একক অ্যালবাম। পুলক বড়ুয়ার সার্বিক তত্তাবধানে প্রকাশিত নতুন এ অ্যালবামের গানগুলো হলো- ‘ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে’, ‘আজি তোমায় আবার’, ‘ঘরেতে ভ্রমর এলো’, ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’, ‘স্বপনে দোঁহে ছিনু’, ‘দিবস রজনী’, ‘নয়ন তোমারে’, ‘আমার প্রাণের পরে’, ‘নিশিদিন মোর পরানে’ এবং ‘তুমি যে আমারে চাও’।