নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করেছে পল্টন থানা পুলিশ। তাকে আটকের কিছুক্ষণ আগে আটক করে নিয়ে যায় সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হিরাকে। শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পূর্ব মুহূর্তে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আলালকে আটকের সময় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা ১১টায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বনির্ধারিত কালো পতাকা প্রদর্শণ কর্মসূচীতে পুলিশী বাধা, নেতা-কর্মীদের উপর গরম জলকামান ব্যবহার ও লাঠিপেটা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলন শেষ হলে চলে যওয়ার সময় কার্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে দলের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। তাকে আটকের কিছুক্ষণ আগে সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হিরাকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে অন্তত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আটক করা হয় বলে একাধীক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচীতে বাধা দেয় পুলিশ।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ জানান, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশ ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা নেতাকর্মীদের ওপর জলকামান দিয়ে গরম পানি ছুঁড়েছে। লাঠিচার্জ এমনকি মাটিতে ফেলে লাথি, কিলÑঘুষি মেরেছে। বহু নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।’
বিএনপির কর্মসূচীতে হামলা বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমান বলেন, ‘বিএনপি কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচী পালনে অনুমতি নেয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে তারা জনসাধারণের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘিœত করছিল। এজন্য জলকামান ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ