আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে জোয়ানা ডেমাফেলিস নামের ২৯ বছর বয়সী ফিলিপাইনের নাগরিক কুয়েতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় আগে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। ফিলিপাইনের সরকারের চাপে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজে ব্যাপক তল্লাশিও চালায়। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
ডিপ ফ্রিজে জমে যাওয়া জোয়ানার মরদেহ উদ্ধারের পর গৃহকর্তা নাদের এসাম আসাফকেও হত্যার সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধারের পর গেলো সপ্তাহে মরদেহটি ম্যানিলায় ফেরত আনা হয়।
ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জোয়ানার মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মৃত্যুর আগে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন জোয়ানা।
ফিলিপিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননের নাগরিক নাদের এসাম আসাফ’র বাসায় কাজ করতেন জোয়ানা। তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাদেরের সিরিয়ান স্ত্রী মোনা এখনও পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে মোনা এখন সিরিয়ায় আছেন বলে ধারণা তাদের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, জোয়ানা নিখোঁজের পর নাদের আসাফের এ্যাপার্টমেন্টটিও গত এক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। জোয়ানা নিখোঁজের ঘটনায় মোনা এবং তার স্বামীর নামে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক হুলিয়াও জারি হয়েছিল।
জোয়ানা ডেমাফেলিসের মৃত্যুর ঘটনা ফিলিপিনের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ক্ষোভের মাত্রা এতোটাই বৃদ্ধি পায় যে ওই ঘটনার পর কুয়েতে ফিলিপাইনের নাগরিকদের কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
অবশ্য মরদেহ উদ্ধার এবং আসাফের গ্রেফতারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফিলিপিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যালান পিটার। কুয়েতের কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, এ ব্যাপারে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সবকিছুই করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ