লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
মাথায় উকুনের যন্ত্রণায় কতজন কত কিছুই করে থাকেন। এমনও হয় যে উকুনের জন্য ন্যাড়া হন। পরে আবার যখন চুল গজায় সঙ্গে সঙ্গে উকুনের বংশবিস্তার শুরু হয়ে যায়। চুল কেটে আর শ্যাম্পু করে উকুন দূর করা সম্ভব না। তবে উকুনের হাত থেকে রেহাই পেতে একটি মাত্র উপাদানই যথেষ্ট। আর সেটা হচ্ছে নিম পাতা। নিমের তিতাকে সবাই ভয় পায়। তবে নিমের তিতাই আমাদের অনেক রকম উপকার করে থাকে। যেটা আর নতুন করে কিছু বলার নাই। আর উকুন তাড়াতে এর থেকে ভালো ঔষুধ আর হতেই পারে না।
নিমের বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indica। নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাকও বলা হয়। আমাদের সবার পরিচিত নিম আয়ুর্বেদ, প্রাকৃতিক, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিমে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাস নাশক, ছত্রাকনাশক, বেদনানাশক, জ্বর নাশক, পচন নিবারক, জীবাণুনাশক, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, রক্ত পরিষ্কারক এবং স্পারমিসাইডাল উপাদান আছে। নিমের নানাবিধ ঔষধি গুণের জন্য একে ‘ওয়ান ট্রি ফার্মেসি’ও বলা হয়।
নিম গাছ পরিবেশের জন্যও অনেক উপকারী। নিম গাছের প্রতিটা অংশ- শিকড়, বাকল, আঠা, পাতা, ফল, ডাল, বীজ এবং বীজের তেল ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়। আসুন তাহলে জেনে নেই উকুন তাড়াতে কীভাবে ব্যবহার করবেন নিম পাতা। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, ৫ মিনিট রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করুন। ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।
এছাড়া নিমের তেলও ব্যবহার করতে পারেন উকুন তাড়ানোর জন্য। স্বাভাবিক মাথার তেলের মতোই তলের তেল মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আবার আপনি চাইলে সব সময় যে তেলটি মাথায় ব্যবহার করেন সেটির সঙ্গেও মিশিয়ে নিয়ে নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে উকুন তো যাবেই আর নতুন করে বংশবিস্তার করতে পারবে না।
সতর্কতা:
নিম পাতা মাথায় ব্যবহারের পর জ্বালা করলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। নিম পাতা টানা ব্যবহার করবেন না। উকুনের অবস্থা বুঝে সাপ্তাহে অথবা ১৫ দিনে একবার ব্যবহার করবেন। নিমের তেল ব্যবহার করার সময়ও একই নিয়ম মেনে চলুন। টানা ব্যবহার না করে কিছুদিন পর পর ব্যবহার করুন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি