আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো সিনেটর পদের জন্য লড়তে যাচ্ছেন সংখ্যালঘু দলিত হিন্দু নারী কৃষ্ণাকুমারী কোহলি। দেশটির সিন্ধু প্রদেশ থেকে সংখ্যালঘু সিনেটরের আসনে পিপিপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন ৩৯ বছর বয়সী এই নারী। ইতিমধ্যেই কোলহির সমস্ত কাগজপত্র গ্রহণ করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ মার্চ সিনেটর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালে পাকিস্তানের প্রথম দলিত সিনেটর হন পিপিপি নির্বাচিত খটুমল জীবন। ২০১৫ সালে ফের দলিত সিনেটর হয়েছিলেন গিয়ানচাঁদ নামে এক ব্যক্তি। তবে কৃষ্ণাকুমারীই প্রথম নারী দলিত, যিনি সিনেটর হতে চলেছেন। সিন্ধু প্রদেশের থার এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণাকুমারী সিনেটর হিসেবে জিতলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশটিতে তিনিই হবেন প্রথম কোনো হিন্দু নারী সিনেটর।
গরিব পরিবারে জন্ম নেওয়া কৃষ্ণাকুমারী নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তার। তবে পড়াশোনা থামাননি। ২০১৩ সালে সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর পাশ করে সমাজকর্মী হিসেবে পিপিপিতে যোগ দেন।
কৃষ্ণাকুমারীর ভাই স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কৃষ্ণাকুমারী থার ও তার আশেপাশের দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য কাজ করেন। তার প্রপিতামহ রূপলু কোহলি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এনডিটিভি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর