স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠে একটা সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটারদের মান বিচার করাটা কিছুটা অন্যায় হবে”- এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সফর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবস্থা ভাল যাচ্ছে না। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে গিয়েছেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১টি ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ছাড়া জয় নেই বাংলাদেশের।
মাশরাফির মতে এমন সময় বাংলাদেশের আগেও এসেছে। তিনি বলেন, “আফগানিস্তান সাথে একটি ম্যাচ হেরেছিলাম। ইংল্যান্ডের সাথেও সিরিজ হেরেছিলাম। এখানে টেস্ট ও টি টোয়েন্টিতে হেরেছি। ওয়ানডের শুরু টা ভাল ছিল।”
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে-শ্রীলংকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের চতুর্থ ওয়ানডে থেকে খারাপ সময় যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের। চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ আর সেটাই তাদেরকে মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান বাংলাদেশ দলের বিপর্যয় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মঙ্গলবার বলেছিলেন, মাশরাফি চাইলে টি টোয়েন্টি দলে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু এবিষয়ে মাশরাফি আজ কোন মন্তব্য করেন নি।
দল নিয়ে কি বেশি পরীক্ষা হয়েছে?
ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তিন ফরম্যাটে ৯টি ম্যাচে মোট ৩২ জন ক্রিকেটার খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে।
মাশরাফির মতে, ওয়ানডেতে বেশি পরীক্ষা হয়নি। এটা শুরু হয় সাকিব আল হাসান যখন আঘাত পায় তখন থেকে, সাকিবের অভাব পূরণ করতে দু’জন ক্রিকেটার প্রয়োজন। সাকিব যেহেতু ফিরে আসছে এই অভাব থাকবে না, অস্থিরতা থাকবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক।
মাশরাফি যোগ করেন, “টি টোয়েন্টিতে কয়েকজন নতুন ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়ে নির্বাচকরা ক্রিকেটারদেরকে একটি বার্তা দিয়েছেন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে (২০২০ সালে) তাই নতুন ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার জন্যে সময় পাবে।”
মাশরাফি মনে করেন, সবাই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে এখনো প্রস্তুত না। তামিম, সাকিব আলাদা ক্যাটাগরির ছিল। তিনি বলেন, সবাইকে সাকিব-তামিম ভাবলে চাপ বেশি পড়ে। এখন যারা অনুর্ধ্ব ১৯ দলে খেলছে এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে করেন মাশরাফি।
ক্রিকেটারদের মধ্যে কী হাথুরুসিংহে ভীতি ছিল?
মাশরাফি বিন মর্তুজা ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ওয়ানডে সিরিজের সময় হাথুরুসিংহেকে নিয়ে কখনো আলোচনা হয়নি।
তবে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত এই ক্রিকেটার বলেন, যদি কেউ মনে সেই ভয় পুষে রাখে সেটা বলা কঠিন। কারণ অনেকের টেকনিক্যাল দুর্বলতা বা শক্তিমত্তার কথা হাথুরুসিংহে জানতেন।
মাশরাফি বলেন, “এখন অনেক কথা শুনতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা হবে। সামনে নতুন সিরিজ, নতুন টুর্নামেন্ট। ফিরে আসার চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।”
একজন হেড কোচ কতটা প্রয়োজন?
মাশরাফি বলেন, “প্রতিটি দলে হেড কোচ তো অত্যাবশ্যক। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই খেলি আমরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তো চেষ্টা করছে একজন কোচ নিয়ে আসার। বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হল। কিন্তু বোর্ড এখনও পর্যন্ত কাউকে বাছাই করতে পারলো না।”
মাশরাফির ভাষ্যে, “ফিরে তো আসতেই হবে। এখানে ইতিবাচক হতে হবে। আমাদের দুটি সিরিজ খারাপ গিয়েছে। এই অবস্থা কাটাতে আমাদের এখন একটা ভাল সিরিজের প্রয়োজন।” সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ