আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাশিয়ার ১৩ নাগরিকের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্তের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে তারবার্তায় প্রতারণা এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিচয় গোপন করে অন্যের পরিচয় ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত হয়েছে রাশিয়ার কয়েকটি কোম্পানিও। নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশাল কাউন্সেল বরার্ট মুয়েলার এই অভিযোগ গঠন করেছেন।
অভিযোগপত্রে রাশিয়ার যেসব কোম্পানির নাম উঠে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ভিত্তিক ইন্টারনেট রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ৩৭ পৃষ্ঠার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘এই কোম্পানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কৌশলগত লক্ষ্য নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কাজ করেছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রসেনস্টেইন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অবৈধ কাজে পরিচিত কোনো আমেরিকান যুক্ত নেই এবং নির্বাচনের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন হয়েছে- অভিযোগে তাও বলা হয়নি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করা হয়েছে। এরপর এক টুইটে তিনি দাবি করেন, তার নির্বাচনী প্রচারশিবির কোনো অন্যায় করেনি এবং নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ আবারো প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে একমত হলেও এ নিয়ে অনেকবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। শুক্রবারের টুইটেও তা উঠে আসে। টুইটে তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করব-এমন ঘোষণা দেওয়ার আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রচার শুরু করেছিল। এতে নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারশিবির কোনো অন্যায় করেনি- কোনো আঁতাত হয়নি।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা এর আগে বারবার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অভিযোগসমূহ
এতে বলা হয়েছে, একদল রুশ : আমেরিকানদের ছদ্মবেশে নিজেদের নামে অর্থনৈতিক লেনদেনের হিসাব খুলেছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন কিনে মাসে হাজার হাজার ডলার ব্যয় করেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যোগসূত্রের বিষয়টি লুকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভার স্পেস কিনেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে র্যালি আয়োজন ও তার সমর্থন করেছে, প্রকৃত মার্কিন নাগরিকদের ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা পোস্ট করেছে, হিলারির অসুবিধা হয়- এমন বার্তা ছড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার বিনিময়ে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে হট-বাটন গ্রুপ খুলে প্রচার চালিয়েছে এবং হিলারির কারাবন্দি অবস্থার ভুয়া ছবি স্থাপনে বৃহৎ কাঠামো তৈরিতে অর্থ দিয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ