বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা ফোর-জির জন্য নিলামে অংশ নিয়ে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ৫ মেগাহার্টজ ও বাংলালিংক ১০.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। এরমধ্যে গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্টজে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্টজে ৫ মেগাহার্টজ এবং ১৮০০ মেগাহার্টজে ৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। ১০ শতাংশ ভ্যাট ধরে ১৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে ফোর জি চালুর জন্য তরঙ্গ নিলাম শুরু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। এতে উপস্থিত রয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম এবং গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিলামে উপস্থিত রয়েছেন। নিলামকালে বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফোর-জি সেবা পাবেন গ্রাহকরা।
মোবাইল ইন্টারনেটে দ্রুতগতির সেবায় ফোরজি সর্বশেষ প্রযুক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রিজির এটি পরের ধাপ। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম এ সেবা চালু হয় ২০০৯ সালে; নরওয়ে ও সুইডেনে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোরজিসেবা চালু আছে। বাংলাদেশে সে হিসাবে এটি বেশ পরেই এলো। দেশে ফোরজিসেবা চালু করবে গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও সরকারের মালিকানাধীন টেলিটক। সবাই এ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে।
মঙ্গলবারের নিলামে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক এতে নিলেও রবি ও টেলিটকের কাছে যথেষ্ট তরঙ্গ থাকায় তারা অংশ নেয়নি। নিলামের পর ফোরজি চালুর জন্য সময় রয়েছে এক সপ্তাহ। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে- সব কাজ সেরে গ্রাহকপর্যায়ে ঢাকাসহ দেশের বড় বিভাগীয় শহরে সেবাটি সময়মতো চালু করা যাবে। বিটিআরসির ফোরজি নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার দেড় বছরের মধ্যে দেশের সব জেলা শহরে সেবাটি চালু করতে হবে; তিন বছরের মধ্যে সব উপজেলায়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন অপারেটরদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হবে। এই দিন থেকে সেবা চালু করতে তারা কারিগরিভাবেও প্রস্তুত।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি