নিজস্ব প্রতিবেদক :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদিদের ‘অখাদ্য’ খাবার খেতে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের যে খাবার খেতে দেয়া হয়, সেই অখাদ্য ম্যাডামকে খেতে দেয়া হচ্ছে। তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। জনমানবহীন নির্জন পরিবেশে তাকে রাখা হয়েছে।
মওদুদ বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, তিনি একা একা হাটুর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। যে গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে ছাড়া তিনি থাকতে পারেন না, তাকেও থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি এখনো।
সরকার মুখে বলছে বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হচ্ছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি শুধু এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, একজন এমপি ছিলেন। বিএনপির মতো একটি বড় দলের তিনি প্রধান হিসেবে তাকে তিন ক্যাটাগরিতে ডিভিশন দেয়ার কথা। অথচ সরকার তাকে এমন পরিবেশে রেখে মুখে বলছে তাকে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অচিরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলবো।
তিনি বলেন, আমরা নেত্রীর সাথে ডিভিশন এবং আপিলের বিষয়ে পরামর্শ করেছি। তার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আর রায়ের নথিপত্র পাওয়ার পরই আমরা দ্রুত আদালতে আপিল করব।
এরআগে বিএনপি আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন। তারা হলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান।
দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের সামনে আসেন এই পাঁচ আইনজীবী। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পান তারা।
উল্রেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া মামলার অপর আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ওইদিনই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কারাগারে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ