২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৪৭

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চালে এখনো অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সবজির দাম আস্তে আস্তে কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করলেও সহসাই কাটছে না চালের অস্বস্তি। বেশ কয়েক সপ্তাহ আমদানি কম থাকায় সবজির দাম চড়া ছিল। এদিকে ১ টাকা, ২ টাকা করে বাড়তে বাড়তে চালের দাম এখন প্রায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীদের মতে, দাম কমার জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, মহাখালী ও কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ চাল।

মোটা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, বি আর আটাশ- ৪৮- ৫৫, মিনিকেট (ভালো) ৬২, মিনিকেট (নরমল) ৫৫-৫৮, নাজিরশাইল গুনগত মানভেদে ৬০-৭০, পাইজাম ৪৬ এবং পোলাও এর চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী আরমান হক জানান, খুব তাড়াতাড়ি চালের দাম কমার সম্ভবনা নেই। চালের দাম কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দেশে উৎপাদিত নতুন চাল বাজারে আসা পর্যন্ত। বেশ কয়েক সপ্তাহ আমদানি কম থাকায় সবজির দাম চড়া ছিল।

তবে এখন আমদানি বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের মতে, শীত কিছুটা কমে আসায় উৎপাদন বেড়েছে। ফলে দামও কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি আকারভেদে ২০-৩০, শসা ৪০, পেপে ২৫, সিম ৪০, বেগুন (কালো) ৩০, বেগুন (সাদা) ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, ঝিঙ্গা ৫৫-৬৫, করলা ৬০-৭৫ এবং মটরশুটি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের সাথে মিল রেখেই আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

এদিকে মসলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী ছোট পেঁয়াজ ও ভারত থেকে আমদানিকরা বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা দরে। এছাড়া আদা ১০০-১২০, মরিচ ১০০-১২০ এবং রসূন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। এদিকে মশুরের ডাল কেজিপ্রতি ৮৫-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-২৫০, কাতলা ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি ৪০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। আজকের মাংসের বাজরে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি আগের সপ্তাহের সঙ্গে। গরুর মাংস ৪৮০, খাসির মাংস ৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৫০ এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, সবজির দাম ঠিক আছে, পেঁয়াজের দামও কমছে দেখলাম। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও তা স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে চালের বাজার তো আগের মতোই চড়া। মহাখালী বাজার থেকে সবজি কিনেছেন ফাতেমা বেগম। তিনি বলেন, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি সবকিছুর দামই এখন মোটামুটি কম। কিন্তু চালের দাম এখনও চড়া। দাম না কমলে চাল কিনে খাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। তাছাড়া পেঁয়াজের দাম কমলেও তা এখনও স্বাভাবিক নয়। কারওয়ানবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. রুবেল মিয়া বলেন, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪২ থেকে ৪৩ টাকা দরে। আমাদের কাছে আমদানি করা পেঁয়াজ নেই, তবে শ্যামবাজারে আমদনি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখেছি।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮ ৩:১৫ অপরাহ্ণ