নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্রলীগের মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এহসান রফিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছে তার পরিবার। এহসান রফিকের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেটার চোখ নিয়ে অনেক বিপদে আছি।’ তিনি বলেন, বাম চোখে আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে পারছেন না এহসান। আহত এহসান রফিক এখন রাজধানী তাঁর এক স্বজনের বাসায় আছেন। ছেলেকে দেখতে এসে শুক্রবার এসব কথা জানান রফিকুল ইসলাম।
ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ছাত্র এহসান রফিককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এহসান রফিক দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এহসান রফিককে মারধর শুরু করে করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরের দিন বুধবারও তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। মারধরের কারণে একটি চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত পান এহসান। গত বুধবার এক সময় পালিয়ে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলেটার চোখ নিয়ে অনেক বিপদে আছি। কয়েকটা চিকিৎসক পরিবর্তন করেও কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ছেলের চিকিৎসা দেশে করাতে পারবো নাকি দেশের বাইরে নিতে হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছি।’
এহসানের বাবা আরো জানান, বাম চোখে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে পারছে না এহসান। বেশ কয়েকটি চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে না তাঁর চোখ। শুক্রবার সকালেই এহসানকে নিয়ে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে যান তিনি। কিন্তু সন্তোষজনক কোনো খবর আসেনি।
বাবা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। থেমে থেমে হচ্ছে বমি। দিন যতই যাচ্ছে ততই ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।’
এই ঘটনার দুইদিন পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে।
আর হল প্রশাসন করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ