স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৪ সালে আব্দুর রাজ্জাক যখন সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তখন বাংলাদেশের পরিকল্পনা থাকত অন্যরকম। উইকেটের আদল হতো ভিন্ন। ওই সময় টেস্ট ম্যাচ জেতার চেয়ে ম্যাচ বাঁচানোই টাইগারদের থাকত মূল্য লক্ষ্য।
মানসিকতা বদলে এখন ঘূর্ণি উইকেটে নিজেদের শক্তির পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে বাংলাদেশ। চারবছর পর জাতীয় দলে ফিরে আব্দুর রাজ্জাক প্রথমবার পেলেন এমন স্পিন-বান্ধব উইকেট। আর এমন উইকেট পেয়ে বিস্মিত বলে জানান রাজ্জাক।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই টেস্ট খেলেছিলেন রাজ্জাক। স্পিনে শক্তিশালী লঙ্কানদের বিপক্ষে তখন স্পিনিং উইকেট বানানোর সাহস দেখাত না বাংলাদেশ। এর আগে খেলা ১২ টেস্টের কোনবারই তাই ৪ উইকেট পাওয়া হয়নি তার। প্রথমবার এমন উইকেটে খেলেই রাজ্জাক করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ এ ধরনের উইকেটে এই প্রথম খেললাম। আগে তো নিজেদের শক্তি দেখেশুনে খেলার সুযোগ ছিলো না। এখন তো এটা সামনের দিকেই যাবে। সেটারই ফল এটা।’
টেস্টে ক্রিকেটে ফেরাটা চার বছর পর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সবশেষ খেলেছিলেন প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। এতদিন পর দলে ফিরলে প্রথমবারের মতো অনুভূতি কাজ করাটা অস্বাভাবিক নয়। রাজ্জাকও একটু নার্ভাস ছিলেন শুরুতে, পরে কাটিয়ে উঠেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ হৃৎস্পন্দন বেশি ছিল, আগের মতো অত বেশি নয়। একটা উত্তেজনা তো সব সময়ই কাজ করে, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে খেলা পর্যন্ত। এটা আসলে জীবনেরই অংশ, ক্রিকেটের অংশ। আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে ঘরোয়ার বড়সড় পার্থক্য থাকে। এখন ভালো লাগছে। অনুভূতিটা খুব ভালো। আজ ভালো করেছি। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনেই দুদলের পড়েছে ১৪ উইকেট। অস্বাভাবিক কিছু না হলে এই টেস্ট পাঁচদিনে গড়ানো মুশকিল। উইকেটের ধরণ বুঝে রাজ্জাকেরও একই অভিমত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘চার ইনিংসের একটা শেষ হয়েছে। আরো একটা ইনিংসের বেশ কয়েকটা উইকেট পড়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, ততে আমার মনে হয়, পাঁচদিনের আগেই টেস্ট শেষ হতে পারে। এই টেস্টে অবশ্যই ফলাফল হবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর