অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:
অনিয়মকারীরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার কারণে সৎ ও ভাল ব্যবসায়ীরা ঋণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছে বস্ত্র খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটি বলছে, অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকের ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করে না। এর প্রভাব পড়ে ভালো ব্যবসায়ীদের উপর। তারা ঋণ নিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাংক তাদের ঋণ দেয় না। এতে সৎ উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বিটিএমএর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। ১৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনী (ডিটিজি) উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত ঋণ খেলাপিদের অধিকাংশই বস্ত্র খাতের তাই এদের কারণে এ খাতের অন্য ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হয় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিএমএর সভাপতি বলেন, এটাই আমরা বলতে চাচ্ছি। ঋণ অনিয়মকারীদের কারণে ভাল ও সৎ ব্যবসায়ীরা ঋণ পান না। যারা ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করে তাদের ঋণ পুনর্গঠন, রেয়াত, সুদ মওকুফ ও সময়মত ঋণ দেয়া হয় না।
তিনি বলেন, দেশে এটা একটা অদ্ভুত নিয়ম। যারা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করে না তাদের পুনরায় ঋণ দেয়া হয়, অথচ যারা নিয়মিত পরিশোধ করে তাদের ঋণ পেতে বেগ পেতে হয়।
দেশে আমদানি বেড়েছে, কিন্তু এই আমদানির পেছনে অর্থপাচার হয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে অনেকে, এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কী, জানতে চাইলে খোকন বলেন: দুর্বৃত্তরাই অর্থপাচারের সাথে জড়িত। বস্ত্র খাতে যেসব ঋণ অনিয়মকারী রয়েছে, কিংবা অর্থপাচারের সাথে জড়িত তাদের কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে। বিটিএমএ থেকে তাদের সদস্য পদ বাতিলের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে বিটিএমএর সভাপতি বলেন: সরকার এলএনজি আমদানি করতে যাচ্ছে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এলএনজির দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এসময় তিনি বস্ত্রখাতকে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়ারও দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বস্ত্রখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৬শ কোটি ডলার। এ খাতের আরো প্রসারের জন্য আগামী ৮-১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ৪ দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনী। বিটিএমএ ও ইয়র্করস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড এটি যৌথভাবে আয়োজন করবে। প্রদর্শনীতে ৩৬টি দেশের ১ হাজার ১শ এক্সিবিটর তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর