নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সেকেন্দার আলী বাদশা (৫৭) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৭ জনের ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ৬ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহত মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীর বড় ভাই আব্দুল খালেক (৬৯), খালেকের ছেলে রাশেদ মিয়া (২৭) এবং সেকেন্দার আলীর ছোটভাই মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মিটন ওরফে লিটন (৩০)। রায়ে ওই তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সদর উপজেলার পালিচাড়া মাধবপুর গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার ও তার ভাইদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ৯ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে আব্দুল খালেক তার ছেলেদেরসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে সেকেন্দার আলীর জমিতে ধানের চারা রোপন করতে যান। এসময় সেকেন্দার আলী ও তার ছেলেরা বাধা দিলে আব্দুল খালেকের হুকুমে অভিযুক্ত মিটন ও রাশেদসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হন সেকেন্দার আলী। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহত সেকেন্দার আলীর ছেলে কামরুজ্জামান লাবু কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসেন ওই বছরের ৫ নভেম্বর ১৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুর রশীদ চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী। এবং বাদী পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক। রায়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় উভয় পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর