২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৪৩

ফোরজিতে অযোগ্য সিটিসেল স্পেকট্রামে অংশ নিচ্ছে না রবি

বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক :

অর্থ সংকটের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট থ্রিজির মতো চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট ফোরজিতেও অংশ নিতে পারছে না সিটিসেল। এদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পেকট্রাম থাকার কারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে না রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, থ্রিজি গাইডলাইন অনুযায়ী যেসব অপারেটর থ্রিজির লাইসেন্স পেয়েছে তারা ফোরজির লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হবে। কিন্তু সিটিসেলের থ্রিজি লাইসেন্স না থাকার কারণে এখন বিকল্প হিসেবে শুধু ফোরজির লাইসেন্স ফি’র সাড়ে ১১ কোটি টাকা দিলেই লাইসেন্স পেয়ে যাবে। নতুন করে স্পেকট্রাম কেনার মাধ্যমে ফোরজি’র লাইসেন্সের শর্ত পূরণ করতে হবে সিটিসেলকে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে অপারেটরটি শেষ পর্যন্ত তা পাচ্ছে না।

এদিকে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর থ্রিজির মতো ফোরজিতেও অংশ নিচ্ছে না। তারা নতুন করে কোনো স্পেকট্রামও কিনবে না। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিলামে নতুন কোনো অপারেটর না আসা এবং বিদ্যমান তিনটি অপারেটর না থাকার কারণে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম এবারও হচ্ছে না। এদিকে অন্য দুই অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড একটি ব্যান্ড এবং বাংলালিংক ডিজিটাল লিমিটেড দুটি ব্যান্ডের জন্য নিলামে অংশ নেবে। প্রতিটি ব্যান্ডের নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য জামানত ধরা হয়েছে দেড়’শ কোটি টাকা। সে হিসেবে গতকাল সোমবার গ্রামীণফোন জামানত হিসেবে দেড়শ কোটি টাকা এবং বাংলালিংক তিন’শ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত বছর দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার কারণে মূল অপারেটর রবির নতুন করে কোনো স্পেকট্রাম দরকার নেই। তবে তরঙ্গ প্রযুক্তিগত নিরপেক্ষতার জন্য এই অপারেটরও টাকা জমা দিয়েছে। নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর অপারেটরটি বিদ্যমান স্পেকট্রাম দিয়েই ফোরজি সেবা দিতে পারবে।

বর্তমানে রবির হাতে ২১০০ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম আছে। আর ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ড মিলিয়ে আছে আরও ২৪ মেগাহার্জ। গ্রামীণফোনের ২১০০ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্জ স্পেকট্রামের সঙ্গে ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ড মিলিয়ে আছে আরও ২২ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম। সবচেয়ে কম স্পেকট্রাম রয়েছে বাংলালিংকের কাছে। অপারেটরটির ২১০০ ব্যান্ডে আছে মাত্র পাঁচ মেগাহার্জ। অন্য দুইটি ব্যান্ডে আছে আরও ১৫ মেগাহার্জ। ফলে নতুন করে স্পেকট্রাম কেনা ছাড়া বাংলালিংকের কোনো পথ খোলা নেই।

বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হাতে মোট তিনটি ব্যান্ডের অব্যবহৃত স্পেকট্রাম নিলামের জন্য প্রস্তুতি আছে। এর মধ্যে ২১০০ ব্যান্ডে ছিল মোট ২৫ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম। যার প্রতি মেগাহার্জের নিলামের ফ্লোর মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর ১৮০০ ও ৯০০ ব্যান্ডের প্রতি মেগাহার্জ স্পেকট্রামের নিলামের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে তিন কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, বিটিআরসির পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। যারা স্পেকট্রাম পাবেন তাদের নাম ঘোষণা করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮ ৫:২২ অপরাহ্ণ