নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের আটক নিয়ে দিনভর নানা গুঞ্জন শেষে জানা গেল তিনি ‘নিরাপদে’ আছেন। খালেদা জিয়ার সিলেট সফর থেকে সোমবার রাতে ঢাকা ফেরেন সোহেল। এরপর মালিবাগ থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাও মঙ্গলবার সকালে একই তথ্য জানান।
সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক দফতর সম্পাদক এবং সোহেলের ব্যক্তিগত সহকারী আখতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘সিলেট থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরের সঙ্গে ঢাকা ফেরেন হাবীন-উন নবী খান সোহেল। এরপর ভোরে মালিবাগ বাজার এলাকা থেকে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে বলে শুনেছি। তবে ডিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা তাকে পাইনি। পরিবারের সদস্যরাও তার অবস্থান জানাতে পারছেন না। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’
এরপর নয়াপল্টন কার্যালয়ে রিজভী তো সংবাদ সম্মেলন করেই দাবি করেন, ‘হাবীব-উন নবী সোহেলকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। তার কোনো সন্ধান আমরা পাচ্ছি না।’ তিনি পুলিশ প্রসাশনের প্রতি সোহেলকে খুঁজে দেয়াও দাবি জানান। সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির একাধিক কর্মকর্তাও কাছে হাবীব-উন নবী সোহেলকে আটকের কথা স্বীকার করেন। তবে তারা এও জানান, অনেককেই ধরা হচ্ছে, এর মধ্যে বিএনপির এই নেতা থাকতে পারেন। তবে বিকেলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
তবে দলের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিকেলে জানিয়েছে, হাবীব-উন নবী সোহল আটক হননি। তিনি রাজধানীতেই আছেন এবং নিরাপদে আছেন। অবশ্য বিকেলে আখতারুজ্জামান বাচ্চুও বলেন, ‘সোহল ভাই ‘সেভ’ আছেন, নিরাপধে আছেন। তিনি আটক হননি।’ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মীর শরাফত আলী শফুও জানান, ভাই (হাবীব-উন নবী খান সোহেল) ঢাকাতেই আছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ্যে আসছেন না। হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের তিনটি মামলারই আসামি তিনি।
রাজধানীর পল্টন, মিরপুর, মতিঝিল, ডেমরা, আদাবর ও কালসী থানায় দায়ের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হাবীব-উন নবী সোহেলের বিরুদ্ধে তদন্তাধীন ও অভিযোগ গঠন হওয়া ১১০টির মত মামলা রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি