নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০১৮’। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে কাল (২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আমিনুর রহমান ও ঘোষণাপত্র পাঠ করেন শিহাব সরকার। উদ্বোধনী পর্বের শেষে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় ‘পোয়েট্রি ইন দ্য স্ট্রাগল অব ডিসপেন্সড পিপলস’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা। এতে ৯টি দেশের ১৬ জন কবি ও লেখক অংশ নেন।
এসময় লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আশিষ সান্যাল, সংঘ মিত্রা চক্রবর্তী, প্রদীপ কর, অলোক বন্দোপাধ্যায়, দিলীপ দাস, সৌমিত্র দাস; সুইডেনের অর্নি জনসন, ভিভিকা সোর্গেই, ক্রিস্টিয়ান কার্লসন; যুক্তরাজ্যের অ্যাগনেস মিয়াডউস; ক্যামেরুনের জয়সি আশানটাংটন; মিশরের ইব্রাহিম এলমাসরি, মেক্সিকোর উরি প্রমুখ।
কবিতা উৎসবের উদ্বোধকের ভাষণে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ স্বৈরাচার, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করতে করতে আমার বলতে ভালো লাগে, এই মুনীর চৌধুরীকে রাজাকার, আলবদর, আল-শামসরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ তাদের বিচার হয়েছে। যাদের চোখ আছে, তারা যে দলই করুক না কেন, নিশ্চিত বিশ্বাস করবে যে, দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এটা বলতেও বাধ্য হবো যে, আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে গেছে।’
কবিতা উৎসবের উদ্বোধকের ভাষণে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ স্বৈরাচার, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করতে করতে আমার বলতে ভালো লাগে, এই মুনীর চৌধুরীকে রাজাকার, আলবদর, আল-শামসরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ তাদের বিচার হয়েছে। যাদের চোখ আছে, তারা যে দলই করুক না কেন, নিশ্চিত বিশ্বাস করবে যে, দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এটা বলতেও বাধ্য হবো যে, আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে গেছে।’
আসাদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমাদের যে মূল্যবোধ হাজার বছর ধরে গ্রামীণ অর্থনীতি-সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এবং অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সে দেশে বিপর্যয় ঘটে গেছে। কিন্তু আমরা আমাদের ভাষাকে বাঁচাতে চাই। ভাষার মধ্য দিয়ে যে মাধুর্য, সেই জায়গা থেকেই তো আমি-আপনি কবিতা লিখতে চেষ্টা করি। তাই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
সভাপতির ভাষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও কবি সামাদ বলেন, ‘আজ ক্ষুধার কামড়ে সমুদ্রের আগ্রাসী ঢেউয়ে বা বরফ-তুষারের হিমশীতল বিষে জর্জরিত লক্ষ-কোটি দেশহারা মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে রয়েছে। পৃথিবীর সব প্রান্তের কবিরা যুগপৎ বিষন্ন ও প্রতিবাদমুখর। সকল কালে অমানবিকতার বিপরীতে কবির কলমে অবিরল ঝরেছে শাণিত প্রতিবাদ।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর