নিজস্ব প্রতিবেদক:
দফায় দফায় অভিযান চালানোর পরও রাজধানীর ফুটপাত-রাস্তা দখল রোধ করা যাচ্ছে না। অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ কিছুতেই কমছে না। বরং রাস্তা-ফুটপাত দখল থাকার কারণে নগরবাসী অসহনীয় যানজটের শিকার হচ্ছে। এজন্য এবার দীর্ঘমেয়াদে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রধান উপদেষ্টা করে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। দখলদাররা ফুটপাতে পসরা সাজানোর পর রাস্তার কিছু অংশও দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। তারা প্রতিদিন ফুটপাতে দোকান বসিয়েই কামিয়ে নিচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। ফলে সিটি করপোরেশন দফায় দফায় অভিযান চালালেও দখলদারদের রোধ করা যাচ্ছেনা। ডিএসসিসি গুলিস্তান, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম এলাকা, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে বসা হকারদের সরাতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। চালু করা হয়েছে হলিডে মার্কেট। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি। বরং কর্মব্যস্ত দিনে ফুটপাত-রাস্তা দখল করতেই বেশি উদগ্রীব দখলদাররা। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পায়ে হাটা মানুষকে। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। এ দুর্ভোগ নিরসনে এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে টাস্কফোর্স গঠন করেছে ডিএসসিসি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাত সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আহবায়ক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য সচিব এবং সংশ্লিস্ট এলাকার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি ডিএসসিসির সচিব মো. শাহাবুদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশে বলা হয়, টাস্কফোর্সের সদস্যরা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ডিএসসিসির আওতাধীন রাস্তা, ফুটপাত, সড়ক বিভাজকগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, অবৈধ স্থাপনা ও বিজ্ঞাপন বোর্ড-ব্যানার উচ্ছেদ করতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে প্রতি মাসে অন্তত দু’বার ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করবে কমিটি। এছাড়া ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে জনবলের মাধ্যমে নিয়মিত রাস্তা, ফুটপাত, সড়ক বিভাজক পরিষ্কার; অবৈধ স্থাপনা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড ও ব্যানার অপসারণ করবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর