আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবের শীর্ষ ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল মুক্তি পেয়েছেন। গত নভেম্বরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আটক হওয়ার দুই মাসেরও বেশি সময় পর শনিবার তিনি মুক্তি পান। এদিন প্রিন্স তালাল ছাড়াও এমবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মালিক প্রিন্স ওয়ালিদ বিন ইব্রাহিম এবং সৌদি রাজকীয় আদালতের সাবেক প্রধান খালিদ আল তুয়াইজিরিও মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর প্রিন্স আল ওয়ালিদ জানান, তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো অভিযোগ আনেনি। তবে তিনি সরকারের সঙ্গে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক সিনিয়র সৌদি কর্মকর্তার বরাতে জানায়, দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর পর প্রিন্স আল ওয়ালিদ মুক্তি পেয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার সকালে সমঝোতার বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল অনুমোদন করার পর বেলা ১১টার দিকে প্রিন্স আল ওয়ালিদ তার বাড়ি ফিরে যান। তবে মুক্তির জন্য তাকে কোনো শর্ত দেয়া হয়েছে কিনা তার বিস্তারিত কিছু জানাননি এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে প্রিন্স, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী ধনকুবেররা ছিলেন। গ্রেফতারের পর থেকে রিয়াদের সাততারকা রিজ কার্লটন হোটেলে তাদের বন্দি করে রাখা হয়। বিবিসি জানায়, এর আগে নভেম্বরের শেষের দিকে ছাড়া পান যুবরাজ মিতেব বিন আবদুল্লাহ। তাকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দিতে হয়েছিল। এমবিসি টেলিভিশনের প্রধান ওয়ালিদ আল ইব্রাহিমকে ছেড়ে দিতে তার টেলিভিশনের শেয়ার চাওয়া হয়েছে।
সৌদির রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ তার ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধান করে একটি দুর্নীতিবিরোধী কমিটি গঠনের পর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও অনেকেই অভিযোগ করছেন, প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দেয়া এবং ক্ষমতা ধরে রাখতেই এমন অভিযান চালানো হয়েছে। সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব জানান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ তছরুপের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি