কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া:
নির্ধারিত সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন সমস্যা বাড়বে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা জরুরি। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দাবি, দুই দেশের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপের কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। কেননা, এখনও হয়নি শরণার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা, তৈরি হয়নি ট্রানজিট ক্যাম্পও।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা ছিল নির্ধারিত সময়ে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। কিন্তু তা না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ এবং দিন যতোই যাচ্ছেই ততই বাড়ছে উদ্বেগ ও শঙ্কা। রোহিঙ্গাদের কারণে নানাবিধ সমস্যায় পড়া স্থানীয়দের রক্ষার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মিয়ানমার তালবাহানা করলেও সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের এ নেতা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া শুরুর না হওয়ার পেছনে মিয়ানমারের তালবাহানা রয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত এটা সমাধান করা।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘চুক্তি মাধ্যমে প্রত্যাবাসন আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এখন মূল প্রত্যাবাসনের জন্য উভয় দেশে চলছে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম।’
নিবন্ধন কার্যক্রমের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন পুরনো মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় এসেছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর