নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গাদের ফেরা এবং বসবাসের জন্য রাখাইনে এখনও উপযুক্ত বা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। এ অবস্থায় বর্বর নির্যাতনের মানসিক আঘাতগ্রস্থ শিশুদের সেখানে পাঠানো ঠিক হবে না। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ কথা বলেছে।
তাদের মতে, পরিবার ভিত্তিক রোহিঙ্গা প্রত্যাাসনের জন্য বাংলাদেশ যে চুক্তিতে উপনীত হয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে তাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার মত পরিবেশ এখনই সেখানে আসেনি। ঢাকা সফরে থাকা ইউনিসেফের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাস্টিন ফরসাথ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তাদের ভাবনার কথা জানান।
বাস্তুচ্যুত এক রোহিঙ্গা শিশুকে উদ্বৃত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মোট শরনার্থীর ৫৮ শতাংশই শিশু। তারা নানাভাবে মানসিক ট্রমায় রয়েছে। এদেরই একজন আমাকে বলছিল, রাখাইনে আমাদের ফেলে আসা বাড়িঘরকে আমরা খুব মিস করি। কিন্তু এটি সত্য যে সেখানে আমরা ঘুমাতে পারতাম না। বাংলাদেশে আসার পর আমরা অন্তত নিরাপদে ঘুমাতে পারছি।
জাতিসংঘের অধীন সংস্থার ওই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে তাদের ফেরানোর আগে অবশ্য নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। বসবাসের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গারা প্রাকৃতিক কারণেই নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হবে বিশেষ করে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোর অনেকটাই বর্ষার ঢলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হবে এমন আশঙ্কা করে তিনি বলেন, আসন্ন এ সঙ্কট মোকাবিলায় এখনই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আমাদের এফোর্ট দ্বিগুন করবো। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুন করার অনুরোধ জানান ওই কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর