আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বে প্রতিবছরই সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়। মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা নিয়ে চলে বছরব্যাপী আলোচনা। সুন্দরী নারী নির্বাচিত হওয়ার পর মেলে কোটি টাকার বিজ্ঞাপনী স্পন্সর আর বিপুল অংকের প্রাইজমানি।
তবে পশুরাও যে পিছিয়ে নেই এই প্রতিযোগিতা থেকে, তা কি আপনি জানেন? বিশ্বে উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়। এ বছর উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে ১২ সুন্দরী উট অযোগ্য ঘোষিত হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে সৌদি আরব এই উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা করে আসছে। প্রতিযোগিতার নাম কিং আবদুল আজিজ ক্যামেল ফেস্টিবল। এ বছর রিয়াদের এক নুতন স্থানে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাসব্যাপী চলে এই উট সুন্দরী প্রতিযোগিতা। প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০ হাজার উট এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। এবছর সেরা সুন্দরী উট পাবে ৩১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১ ডলার=৮২ টাকা)।
তবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই প্রতিযোগিতা জিততে হয়। সুন্দরী উটকে দৌড়ে জিততে হবে। সুন্দরী উটের দুধ কতটা স্বাদের তা পরখ করতে হবে। সুন্দরী উটের মাথার আকার, নাক, কান, দাঁত চোয়ালের গঠন কেমন তা বিচারকরা দেখবেন। শরীরে চামড়া ভাজ পড়েছে কিনা সেগুলোও যাচাই করা হবে। আর সবকিছুতে উতরে যাবার পরই মেলবে ২৬০ কোটি টাকার নগদ অর্থ পুরস্কার। আর পুরস্কারের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জিতে নিতে অনেক উটের মালিক অসাধু উপায় অবলম্বন করেছেন। তারা উটের শরীরে বোটক্স নামের এক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেন।
এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে উটের গায়ে বয়সের ছাপ থাকে না। চামড়া টান টান থাকে। মুখের চোয়াল সুগঠিত দেখা যায়। উটের ঠোট লম্বা, মাথা বড় দেখায়। এবার সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে ১২ টি উটকে প্রতিযোগিতায় অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এসব উটের মালিক উটের ওপর বোটক্স ইনজেকশন প্রয়োগ করেছে। পশু চিকিৎসক দিয়ে উট পরীক্ষা করলে এ ঘটনা ধরা পড়ে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর