২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:০৫

আদালতে খালেদা জিয়া, যুক্তিতর্ক চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক চলছে। এ মামলার অপর আসামি কাজী সফিমুল হকের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ।

এর আগে বেলা ১১ টা ৩৯ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে সারাদেশে নিহত আইনজীবীদের স্মরণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুপুর ২টায় আদালত বসে। এখন আদালতে ওই মামলা দুটির কার্যক্রম চলছে।

এর আগে সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিটে বিএনপি প্রধান রাজধানীর গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাস ভবন থেকে রওনা হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। খালেদা জিয়ার হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার বসিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।

এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি ওই দুই মামলার কার্যক্রমের দিন ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

গত ১১ জানুয়ারি ওই দুই মামলার পরবর্তী তারিখ ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ধার্য করা হয়। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৩, ২০১৮ ২:৫৮ অপরাহ্ণ