স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ দলের পাঁচজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ১০ বছরের বেশি। এই পাঁচের মিলিত অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ এখন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও মানছেন সেটা। সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার পাওয়াটা তাঁদের প্রাপ্যই মনে করছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের যাওয়ার আগের সময়টাতে স্টেডিয়ামপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, সিনিয়রসহ বেশ কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে চলছে তাঁর শীতল সম্পর্ক। তিনি চলে যাওয়ার পর অবশ্য ফের স্বস্তি ফিরেছে ড্রেসিংরুমে, সেটা আকারে-ইঙ্গিতে বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। সর্বশেষ সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনেও বলেছেন, স্বাধীনতার পাশাপাশি সিদ্ধান্তটাও নিতে পারছেন তাঁরা। খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষ্যটাও যেন মিলে গেল সাকিবের সঙ্গেই, ‘আমি যেটা মনে করি, ড্রেসিংরুম এখন অনেকটা আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের মধ্যে পরামর্শগুলো ভালো হয়। আমরা চেষ্টা করি, সবকিছুতেই ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ত রাখতে। তাদের আমরা সেই দায়িত্বটা দিয়েছি। ড্রেসিংরুম একই আছে, বাংলাদেশ দলে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। স্বাধীনতার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেই জিনিসটা হয়তো একটু বেশি আছে।’
সিরিজটা শুরুর আগে বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সিরিজে ‘মাশরাফি আর সাকিব’ই পালন করবেন টাইগারদের কোচের দায়িত্ব। সঙ্গে রিচার্ড হ্যালসল আর সুজন তো থাকছেনই। মাশরাফি-সাকিবদের সঙ্গে দলের সিনিয়রদেরও মতামতকেও গুরুত্ব দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাবেক বোর্ড পরিচালক আর ম্যানেজার সুজন বলছেন, অমন স্বাধীনতা সিনিয়রদের প্রাপ্যই। মাঠের সিদ্ধান্ত আসলে ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে, ‘তারা সবাই বেশ অভিজ্ঞ। আমার মনে হয়, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক, রিয়াদদের মিলিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে এখন প্রায় ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সামর্থ্য অবশ্যই তাদের আছে। ঢাকা লিগে বলেন বা জাতীয় দলে, এই ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই ঘুরেফিরে অধিনায়কত্ব করেছে।’
দুরন্ত দুই জয়ে এমনিতেই দারুণ চনমনে বাংলাদেশ দল। তার ওপরে দলের টেকনিক্যাল ম্যানেজার আর অভিভাবকের কাছ থেকে যদি শুনতে পাওয়া গেল এমন ইতিবাচক বার্তা, তবে তো ত্রিদেশীয় সিরিজ বটেই, বছরের বাকি খেলাগুলোতেও টাইগাররা মাঠে নামতে পারবে চওড়া বুক আর অসীম সাহস নিয়ে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি