বিনোদন ডেস্ক:
তালেবানি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবনের পথকে বেছে নিয়েছেন। পেয়েছেন নোবেলের স্বীকৃতি। এবার তার কাহিনি উঠে আসতে চলেছে বলিউডের পর্দায়। পাকিস্তানের-কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে ছবি তৈরি করছেন পরিচালক আমজাদ খান। ছবির নাম ‘গুল মকাই’। কয়েকদিন ধরে সেই ছবিরই বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হল কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায়। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকা।
পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যাকার অপরিচিত কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা। তার জীবনচিত্রকে চলচ্চিত্রে বাঁধতে চলেছেন পরিচালক। যাতে রয়েছেন রিমা শেখ, দিব্যা দত্ত, মুকেশ ঋষির মতো অভিনেতারা। ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যের শুটিং হয়েছে গুজরাটের ভুজ ও মুম্বাইতে। একদম শেষের দিকের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্যই কাশ্মীরে এসেছেন ‘গুল মকাই’ টিমের সদস্যরা। এমনটাই জানিয়েছেন ছবির পরিচালক।
পরিচালক আরও জানান, সোয়াটের মতো তালেবান অধ্যুষিত এলাকার দৈনন্দিন জীবন যাপনের টুকরো ছবি ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। মালালার মতো কিশোরীরা তালেবানি শাসানির মধ্যেও কীভাবে স্কুলের পথে পা বাড়ান তার বর্ণনা রয়েছে। বারবার তালেবানি হামলা, চোখরাঙানি উপেক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে এগিয়ে চলার যে মন্ত্র মালালা নিজে মেনে চলেছেন, তাই দেখতে পাবেন দর্শকরা। যেখানে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মালালার হার না মানা মানসিকতাকে সম্মান জানানো হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সোয়াট উপত্যাকবাসীর যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনের দৈনন্দিন লিপি।
উল্লেখ্য, ১৭ বছর বয়সে শান্তির জন্য নোবেল দেওয়া হয় মালালা ইউসুফজাইকে। ২০১২ সালে তালেবানি হামলায় মারাত্মক জখম হন মালালা। সোয়াট থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উড়িয়ে আনা হয় ইংল্যাণ্ডে। তার জন্য সর্বোচ্চস্তরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আন্তর্জাতিক মহল। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে মালালা। আবার শুরু হয় পড়াশোনা। একদিন তালেবানি চোখরাঙানি উপেক্ষা করে যে পথে পা সে বাড়িয়েছিল, ২০১৩ সালে সেই পথে চলেই তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ‘আই অ্যাম মালালা’ নামের বইটি এখন বেস্ট সেলার। যার সহকারী লেখিকার নাম মালালা ইউসুফজাই। মেয়েদের শিক্ষার দাবিতে দেশবিদেশের বিভিন্ন আলোচনা সভায় এখন বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানি-কিশোরী। তবুও সোয়াটের ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিকে নিভতে দিতে নারাজ। তাই নারী-শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে সততই সরব এই নোবেলজয়ী।
দৈনকদেশজনতা/ আই সি