নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনে বছরব্যাপী বাঘ গণনা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ‘ব্যাঘ্র প্রকল্প’ দফতরের সজনেখালী রেঞ্জ অফিসে চলছে তিন দিনের প্রশিক্ষণ।
এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের বন বিভাগের ৪ ডিএফও বসিরুল আল মামুন, মাহাবুর রহমান, মদিনুল হাসান, মামুদুল হাসান, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা, ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউশন অব ইন্ডিয়ার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কামার কুরেশি, পশ্চিমবঙ্গের ‘ব্যাঘ্র প্রকল্পের’ ফিল্ড ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মল্লিক প্রমুখ।
এতদিন সুন্দরবনে বাঘ গণনা করা হতো সাধারণত বাঘের পায়ের ছাপ দেখে, গলায় রেডিও কলার লাগিয়ে অথবা জঙ্গলে ক্যামেরা ট্র্যাক করে। এবার সেই পদ্ধতিতে বেশ কিছুটা বদল আনা হচ্ছে। এজন্য তিনটি পর্যায়ে প্রায় ১৪১০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগানো হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা জানান, এ পদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর বাঘ গণনা করা হয়। এবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাঘ গণনা করা হবে। ডব্লিউডব্লিউএফসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এতে যুক্ত থাকবে। বাঘের শরীরের দু’দিকের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষণ করে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হবে। এ বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে এ গণনা চলবে।
ওয়াইল্ড লাইফের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কামার কুরেশি বলেন, শুধু বাঘ নয়, সুন্দরবনে কোথায় কোথায় হরিণ, শূকর আছে তাও দেখা হবে। দুই দেশে একসঙ্গে গণনা করলে বাঘের মোটামুটি সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ