নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাশে রেলওয়েতে অডিটর পদে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির একজন যুগ্ম মহাপরিচালক মো. নজরুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম এখন পদোন্নতি পেয়ে সিভিল অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
অডিটর পদে নিয়োগের অভিযোগে মামলার পর কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধওে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। পুর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে নিয়োগে জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের তথ্য প্রমানাদি পায় তদন্ত কর্মকর্তা। ওইসব তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন। কমিশন ওই তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই শেষেই আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়।
রেলের যুগ্ম মহাপরিচালক ছাড়াও নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে যাদেও বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন, রেলের পূর্বাঞ্চলের সাবেক হিসাব কর্মকর্তা এবিএম মফিজুল ইসলাম, রেলের সহকারী পরিচালক জিএম মামুনুর রশিদ, বর্তমানে তিনি উপপরিচালক বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরে আছেন, রেলের এ এফ এম শহীদ উল্লাহ, মোঃ আনিসুল হক, হোসনা আক্তার, অডিটর ফারজানা সুলতানা, মোঃ নুরুল আমিন, সঞ্চিতা সাদেক, অপুর্ব বিশ্বাস, জিএম আবুল কালাম, মোঃ মনিরুজ্জামান ও প্রদীপ কুমার সরকার।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চার্জশিটভূক্ত আসামিরা নিজেরা লাভবান হতে মোটা অংকের টাকা পেয়ে আটজনকে অডিটর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর