পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না দিয়ে এক শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে পাস করেছে। একই এলাকায় ঘটেছে উল্টো ঘটনাও। পরীক্ষায় নিয়মিত অংশ নিলেও অপর এক শিক্ষার্থীকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হয়েছে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে উপজেলার ৫৭ নং আন্ধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মনি আক্তার (রোল নং ১৮০৫) পরীক্ষা না দিয়েই জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে পাস করেছে। অপর দিকে ৫০ নং আংগুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিয়াল জমাদ্দার (রোল নম্বর ১৭০৫) পরীক্ষায় অংশ নিলেও তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। সে স্থানীয় কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও স্কুল থেকে রেজাল্ট শিট না পাওয়ায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। এতে পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ অন্যরা যেমন হতবাক হন, একই সঙ্গে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পরীক্ষা দেয়ার পরও অনুপস্থিত দেখানো শিক্ষার্থীর বাবা-মাসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন আংগুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা বেগম ও আন্ধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার সোহেল। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, দুই শিক্ষার্থীর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি