নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ থেকে বদলি হয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া তারানা হালিম আক্ষেপ করে বলেছেন, বিগত দুই বছরে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব কাজ শেষ করেছেন, এখন তিনি (মোস্তফা জব্বার) শুধু উদ্বোধন করবেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে ক্ষোভ আছে তারানা হালিমের মধ্যে। আবার ওই সিন্ডিকেটকে ইঙ্গিত করে নবনিযুক্ত টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বক্তব্যেও আহত হয়েছেন তিনি। তারানা হালিম একটি নিউজ পোর্টালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মোস্তাফা ভাই হয়তো সিন্ডিকেটের কথাই বলেছেন। তাহলে আমার চলে যাওয়াটা কোন সিন্ডিকেটের কারণে, সেটা তার প্রকাশ করা উচিত। উনি এটা করলে আমার বড় ধন্যবাদ পাবেন। যদিও পরদিন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তারপরও তার সত্য প্রকাশ করা উচিত, হোক সেটা আমার বিরুদ্ধেই।
প্রসঙ্গত, দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার মোস্তাফা জব্বার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তারানা হালিমের সরে যাওয়ার কারণ প্রকাশ্যে বলা যাবে না।’ মন্ত্রণালয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট সম্পর্কে তারানা বলেন, ‘এখন এ নিয়ে কিছুই বলতে চাচ্ছি না। একটা কথাই বলি, কোনো মানুষ সৎ এবং কর্মঠ হলে তিনি কখনোই সিন্ডিকেটকে তোয়াক্কা করেন না। আমি যেখানেই যাব, কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দিব না। আমি সারা জীবন সিন্ডিকেট, অসততার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সেটি যেখানেই যাই অব্যাহত থাকবে। আমার ওপর নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সে আস্থা আছে।’
ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কাজ শেষ করে এসেছি। এখন যিনি এসেছেন, তিনি সেগুলো উদ্বোধন করলেই হবে। তার প্রতি আমার শুভ কামনা থাকল। এত কাজ করে এসেছি, অবশ্যই এগুলোর উদ্বোধন হতে না দেখাটা খারাপ লাগবে।’ তারানা হালিম বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী সব সময় চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বই আমাকে দেন। টেলিযোগাযোগ সেক্টরের চ্যালেঞ্জ আমি মোকাবিলা করেছি। হয়তো আরেকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তিনি আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। সেটিতেও নেত্রীর আস্থা রাখার চেষ্টা করব।’
তারানা হালিম বলেন ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিগত দুই বছরে এডিপির এক নম্বরে রয়েছে। আমি দেখিয়েছিলাম সৎ থাকা যায়, সঙ্গে এডিপিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমি এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কোথাও ব্যর্থ হইনি। আশা করি নতুন জায়গাতেও ব্যর্থ হব না।’ যোগ করেন তারানা। নতুন ডাক তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উদ্দেশে তারানা হালিম বলেন, ‘উনাকে আমার মতো ক্যান্সার মুক্ত করতে হবে না। আমি যে কেমোথেরাপি দিয়ে এসেছি, সেগুলো অব্যাহত রাখলেই হবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ