নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশেষ উদ্যোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রথম চালু হবে এলিভেটেড মেট্রোরেল। প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং মতিঝিল পর্যন্ত বাকি রুটের কাজ শেষ হবে পরের বছরেই। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার দ্রুততম এই পরিবহন প্রকল্পের সার্বিক আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৫ শতাংশ। রাজধানীর যানজট নিরসনে এই মেট্রোরেলই এখন প্রধান এবং শেষ ভরসা।
এই আধুনিক পরিবহনে চড়ে ৩৮ মিনিটে যাওয়া যাবে উত্তরা থেকে মতিঝিল। তবে এই পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ২ বছর। যদিও ২০২৪ সালের জুনে রাজধানী জুড়ে পূর্ণাঙ্গতা পাবে মেট্রোরেল প্রকল্প। ২০ কিলোমিটারের এই রুটে থাকছে ২৪টি ট্রেন এবং প্রতিটিতে বগির সংখ্যা ৬টি। ঘন্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করবে মেট্রোরেলের মাধ্যমে। ১৬টি স্টেশনে ৫ মিনিট পর পর একটি করে মেট্রোরেল পাবে যাত্রীরা। মোট ৮টি প্যাকেজে ভাগ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে এখন পুরোদমে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিপু এলাকার ভূমি উন্নয়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ব্রিজের কাঠামো প্রথম দৃশ্যমান হবে আগারগাঁওয়ে।
ডিএমআরটিডি প্রকল্পের গণসংযোগ শাখা ব্যবস্থাপক খান মিজানুল ইসলাম বলেন, প্র্রাথমিকভাবে আমরা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভিতরে আমরা এই কাজ উদ্ভাবনী পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। সেটা হবে আগারগাঁও পর্যন্ত।
প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে যৌথ অর্থায়ন করছে সরকার ও জাইকা। গত বছরের শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা। প্রকল্প কাজে ব্যয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও নির্মাণ প্রকল্পে জনভোগান্তি কমাতে বলছে বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, নগরের ভিতরে যেখানে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তার সাথের সংযোগ সড়কগুলো কোনো অবস্থাতেই মেরামতবিহীন না থাকে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, দ্রুততম পর্যায়ে এই ব্যস্ততম সড়কে কাজ করার জন্য কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে করে খরচ বেশি হলেও ভোগান্তি যেন একটু কম হয়। রিভাইজ স্ট্যাটিজিক ট্রান্সপোর্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫টি মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ