কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া
পাচারকারীরা কৌশলে চালের বস্তায় ভরে পাচারকালে ৪’শ বস্তা ত্রানের ডাল আটক করেছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টের বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি আটককৃত বস্তা গুলো ত্রাণের ডাল বলে স্বীকার করলেও রোহিঙ্গাদের প্রদত্ত নাকি স্থানীয় ব্যবসায়ীর ডাল তা নিশ্চিত করতে পারছেনা। বিজিবি বলছে চালকের কাছ থেকে পাওয়া কাগজপত্র উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। তিনি যাছাই করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে দায়িত্বরত বিজিবি’র সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারমূখী একটি ট্টাককে সন্দেহজনক ভাবে তল্লাশী চালানো হলে বস্তার উপরে চাল লিখা থাকলেও ভিতরে ডাল পাওয়া যাওয়ার রহস্য উৎঘাঠন নিয়ে তাদের মনে সন্দেহজাগে। গাড়ীর চালক এসব মালামালের কাগজ বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করলে বিজিবি কোন সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি। বিধায়, কাগজটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামানের নিকট পাঠানো হয়েছে বলে বিজিবি জানান।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ত্রাণের ডাল নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও দ্বিধাদন্দে ভোগছেন। তিনি বলেন, হয়তো এসব ডাল ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম শহরে চালান ও করতে পারে। এমনও হতে পারে, এসব ডাল তারা রোহিঙ্গাদের কাজ থেকে ক্রয় করে নিয়েছেন। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, তিনিও সন্দেহ করছেন এ গুলো ত্রাণের ডাল। যেহেতু হাটবাজারে বেপরোয়া ভাবে ত্রাণের বিভিন্ন ধরনের মালামাল। তিনি বলেন, বিজিবি’র পাঠানো কাগজ যাছাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর