নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সাত শতাধিক মডেলের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি শুরু করেছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সবচেয়ে অত্যাধুনিক ও সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের (নম্বর-২৩) সমন্বয়ক শাহ শহীদ চৌধুরী।
শাহ শহীদ চৌধুরী বলেন, আমাদের তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই জায়গা স্বল্পতার কারণে এখানে প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সেসব পণ্যও তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড। এ কারণেই ওয়ালটন ক্রেতাদের কাছে দায়বদ্ধ। তাই পণ্যের গুনগত উচ্চমান এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সময়ের প্রয়োজনে ওয়ালটন পণ্যের মডেল, ডিজাইন ও কালারে নতুনত্ব থাকে। এবারও তাই রয়েছে। সাত শতাধিক মডেলর পণ্য বিক্রি করছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, মেলায় ওয়ালটনের আছে ২১ মডেলের ফ্রিজার, ২৪ মডেলের (নন ফ্রস্ট) ফ্রিজ, ৮৬ মডেলের (ফ্রস্ট) ফ্রিজ, ১০৩ মডেলের এলইডি টিলিভিশন, ২ মডেলের আল্ট্রা এইচডি টেলিভিশন, ৪৭ মডেলের স্মার্টফোন, ১০ মডেলের ট্যাব, ১৯ মডেলের জেনারেটর। এর মধ্যে ১ মডেলের জেনারেটর রয়েছে, যা ডিজেল-চালিত।
এছাড়া আছে ২৩ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ২৪ মডেলের রাইস কুকার, ৫ মডেলের কিচেন কুকওয়্যার, ১৩ মডেলের আয়রন মেশিন, ৬ মডেলের আইপিএস, ১০ ধরনের অটো ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার, ২৪ মডেলের ব্লেন্ডার, ৬ মডেলের ফ্যান, এলইডি বাল্ব, ১৩ মডেলের সেলাই মেশিন, কয়েক মডেলের ওভেন, ডিভিডি প্লেয়ার, ইন্ডাকশন কুকার, হেয়ার ড্রায়ার, এয়ার কুলার, ওয়াশিং মেশিন, রিচার্জেবল ও পোর্টেবল ল্যাম্প, জুসার মেশিন, মাল্টি কুকার, টোস্টার, গ্যাস স্টোভ ও ওয়াটার ডিস্পেন্সার। এর বাইরে সিঙ্গেল মডেলের ওয়েট মেশিন, ইলেকট্রিক ওভেন, প্রেসার কুকার, ভেজিটেবল (সালাদ) মেকার, ফুড প্রসেসর, ক্লথ ড্রায়ার, স্যান্ডউইচ মেকার, মপ সেট (ফ্লোর ও গাড়ি পরিষ্কারের জন্য), রুম হিটার, স্ট্যান্ড মিক্সার/বিটারস ও এয়ার ফ্রাইয়ার নিয়ে এসেছে ওয়ালটন। এসব পণ্য মেলা উপলক্ষে প্যাভিলিয়ন থেকে ক্রেতারা ক্রয় করলেই পাবেন ৭ থেকে ৮ শতাংশ মূল্যছাড়। এছাড়া টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ভারী পণ্য ক্রেতাদের ঘরে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের নতুন আকর্ষণ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন। এর মধ্যে রয়েছে- এলজিপি, এলডিপি, মাস্টারব্যাচ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল অ্যান্ড বোথ সাইড টেপ ইত্যাদি। এর মধ্যে বেশকিছু পণ্য রয়েছে, যা দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়। এগুলো হচ্ছে কমপোনেন্ট, প্লাস্টিক কমপোনেন্ট, স্টিল কমপোনেন্ট।
এবার বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে দুটি সেলস সেন্টার রাখা হয়েছে। একটি নিচ তলায় ও অপরটি দ্বিতীয় তলায়। এর ফলে ক্রেতারা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই খুব তাড়াতাড়ি তাদের পণ্যের বিল পরিশোধ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) দেশের সর্ববৃহৎ পণ্য মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালু করার পর থেকে প্রতিবছর মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার সম্মান পাচ্ছে ওয়ালটন। এছাড়া প্রায় প্রতিবছরই সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেয়ে আসছে ওয়ালটন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্র মতে, দেশি-বিদেশি ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ১৭টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, ভিয়েতনাম, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও হংকং।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ